সম্পাদকীয়
গত ২৩ তারিখ হৈ হৈ করে বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস পালিত হলো। এবারের থিম ছিল ‘ইচ্ছে মতন পড়ুন’। পড়ার স্বাধীনতা। পাঠক তার পছন্দের বইটি খুঁজে নেবেন। এবং সেই বই থেকেই মনের আনন্দ খুঁজে পাবেন। বই নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আছেন তাঁদের অনেকেরই মত, বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বই প্রকাশিত হচ্ছে তার অনেকটাই অপাঠ্য। বিপণন এর নামে পাঠককে বিভ্রান্ত করে সেই সমস্ত অপাঠ্য বই গিলিয়ে দেবার প্রচেষ্টাই বাংলা প্রকাশনার নাভিশ্বাস তুলেছে। পাঠক ঠকছেন। সর্বোপরি পাঠকের বই বিমুখতা বাড়ছে। এই টালমাটাল পরিস্হিতিতে কিছু প্রকাশক যাদের তুলনামূলক ভাবে পুঁজি কম, যাদের ছোটো প্রকাশক বলা হচ্ছে তাঁরা এমন কিছু বই প্রকাশ করেছেন যা আগে কখনও ভাবা যায় নি।
বই প্রকাশ করছি, কি বই প্রকাশ করছি, কেনো করছি এ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় বইয়ের যে সামান্য বাজার তাকে বেপথু করতে এলোমেলো কথার ভিড়ে হারিয়ে দেবার চেষ্টা বইয়ের স্বাভাবিক স্থায়ীত্বকে। মনে রাখতে হবে এ সব আলোচনা ননটেক্সট বইকে ঘিরে। আবার এই ননটেক্সট এর মধ্যেই এক দল প্রকাশক কপিরাইটহীন বই প্রকাশ করে বিপুল ছাড় দিয়ে বিরাট ব্যবসা করে চলেছে। আসলে কে কি ভাবে এই ব্যবসা কে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তবে দিনের পর দিন মেধা মননের চর্চাহীন সাহিত্য, বাংলা বইয়ের প্রকাশকেই ক্রমশঃ জৌলুস হীনতার দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে এ কথা বলাই বাহুল্য মাত্র।
গৌতম দাশ
সূচিপত্র
বিশেষ রচনা
- বডিশেমিং ২ – ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়
- শতবর্ষে কীর্তন সম্রাজ্ঞী ছবি বন্দোপাধ্যায় – সুকুমার বারিক
- আড়ালে থাকা বোমা বিশারদ : মণীন্দ্রনাথ – রজত চক্রবর্তী
- উইলিয়াম কেরির ‘ইতিহাসমালা’: কিছু প্রশ্ন কিছু বিতর্ক – ঈশা দেব পাল
ব্যক্তিগত গদ্য
কবিতা
- রামকিশোর ভট্টাচার্য
- বিজয় সিংহ
- ইলা সূত্রধর
- মন্দিরা ঘোষ
- হরপ্রসাদ রায়
- শান্তা সরকার
- সূরজ দাশ
- রুনা চট্টোপাধ্যায়
- সুমন বাল্মীকি
ভ্রমণ
- রাখালবাবুর ভ্রমণ বৃত্তান্ত (পর্ব – ৪) – ডা. সুশোভন অধিকারী
- সাধারণ ভাতে অসাধারণ স্বাদ – ডা. স্ববর্ণা চক্রবর্তী
- কলম-বাসি কথা – ডা. ভাস্কর দাস
গল্প
উপন্যাস
প্রচ্ছদ
ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি – ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আন্তর্জাল
সম্পাদকঃ গৌতম দাশ