পয়লা মে ২০২৪

গত ২৩ তারিখ হৈ হৈ করে বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস পালিত হলো। এবারের থিম ছিল ‘ইচ্ছে মতন পড়ুন’। পড়ার স্বাধীনতা। পাঠক তার পছন্দের বইটি খুঁজে নেবেন। এবং সেই বই থেকেই মনের আনন্দ খুঁজে পাবেন। বই নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আছেন তাঁদের অনেকেরই মত, বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বই প্রকাশিত হচ্ছে তার অনেকটাই অপাঠ্য। বিপণন এর নামে পাঠককে বিভ্রান্ত করে সেই সমস্ত অপাঠ্য বই গিলিয়ে দেবার প্রচেষ্টাই বাংলা প্রকাশনার নাভিশ্বাস তুলেছে। পাঠক ঠকছেন। সর্বোপরি পাঠকের বই বিমুখতা বাড়ছে। এই টালমাটাল পরিস্হিতিতে কিছু প্রকাশক যাদের তুলনামূলক ভাবে পুঁজি কম, যাদের ছোটো প্রকাশক বলা হচ্ছে তাঁরা এমন কিছু বই প্রকাশ করেছেন যা আগে কখনও ভাবা যায় নি।
বই প্রকাশ করছি, কি বই প্রকাশ করছি, কেনো করছি এ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় বইয়ের যে সামান্য বাজার তাকে বেপথু করতে এলোমেলো কথার ভিড়ে হারিয়ে দেবার চেষ্টা বইয়ের স্বাভাবিক স্থায়ীত্বকে। মনে রাখতে হবে এ সব আলোচনা ননটেক্সট বইকে ঘিরে। আবার এই ননটেক্সট এর মধ্যেই এক দল প্রকাশক কপিরাইটহীন বই প্রকাশ করে বিপুল ছাড় দিয়ে বিরাট ব্যবসা করে চলেছে। আসলে কে কি ভাবে এই ব্যবসা কে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তবে দিনের পর দিন মেধা মননের চর্চাহীন সাহিত্য, বাংলা বইয়ের প্রকাশকেই ক্রমশঃ জৌলুস হীনতার দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে এ কথা বলাই বাহুল্য মাত্র।

গৌতম দাশ

সংগ্রহ করতে ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন
সংগ্রহ করতে ছবিতে ক্লিক করুন
বেশি বই বেশি নয়ঃ ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন

ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি – ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আন্তর্জাল

সম্পাদকঃ গৌতম দাশ

কারিগরি সহযোগিতাঃ সৌরভ হাওলাদার

খবরাখবর পেতে, এই লিঙ্কে, ইমেল নথিভুক্ত করুন