প্রথম আলোর প্রাণবন্ত পৃথিবী, আমার
শব্দব্রহ্ম তুমি; বাতাসের অবয়বে কথাবলা অনর্গল ঝড়, বৃষ্টি বুকের ভেতর।

আদিগন্ত চারপাশ, তার মধ্যে উদ্ভিদ আত্মীয় তুমি, অনন্ত উন্মেষ। সমস্ত অনুভূতি আবেশ ও অনুভবে যোগসূত্র বেঁধে দেওয়া সুতো। অনির্ণেয় পৃথিবী, আর তার রূপ, বীতরাগ, ঘ্রাণ, প্রাণ, প্রেম ও প্রতিজ্ঞায় সীমিত সঞ্চার, আমারও গভীর মধ্যের।

শব্দব্রহ্ম, অনৃত অন্বয়! মাটি ছুঁয়ে প্রথম উচ্চারণ ছিল জায়মান বিস্ময়ের। প্রথম সে উষ্ণতার স্পর্শ ছিল আমার আবহে। ছিল ভয়, উদ্বেগ; সেসব কাটিয়ে সাবলীল অনুকারে ঋক মন্ত্র। তোমার সে উষ্ণতর আবরণ, অন্যতর পৃথিবী ছিল সে, বর্ম ছিল, মণিহর্ম্য আমার সত্তার।

তোমার সৃষ্টিতে ছিল অন্তহীন পূর্ণতার অনুরাগ। তোমার তুমিতে ছিল আবির্ভাব স্ব-অহম্ বিলীন সত্তায়। আবির্ভাব ছিল এক হিরণ্ময় প্রথম সূর্যেরও। নতুন স্পর্শের সাথে উচ্চারিত হল অনু-স্বর,
একান্ত আমার।

তারপর মুহূর্তের অন্ত নেই…. স্পন্দন অনিঃশেষ শব্দিল সঞ্চারী ; উচ্চারণ সনির্বন্ধ: শব্দব্রহ্ম, অন্তরঙ্গ বুকের ভেতর।


সংগ্রহ করতে, ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন

আকাশের বাতাসের চাঁদের নদীর ও পাহাড়ের গল্প শেষ করে তখন মাটির কাছে বসি
মা আমাকে সোঁদা গন্ধের মৌসুমী আঁচলের গল্পে
ঢেকে দেয়।

ঠিক তক্ষুণি মেঘ সরিয়ে সূর্যটা ফিক করে হেসে ওঠে
এক নিমেষে
আমার পাশ কাটিয়ে, আমার রা কাড়ার আগেই, – আমার মায়ের পা ছুয়ে নেয়।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]