পরিত্যক্ত রানওয়ে। রক্তবৃষ্টি হয়েছিল কাল। আজ
বাস্তব অগ্রাহ্য করে কুঁদোবাঘ ঘুমিয়ে পড়েছে।
এ দৃশ্য অনিত্য। তবু দৃশ্যাতীত তাকে
গ্রহনে নিয়েছে, হেতু
পৃথিবীতে কণামাত্র হলেও মধুর যেন থাকে

মধুর, মুখ-গহ্বর থেকে বেরোনো পালক
ছড়িয়েছি, মধ্যরাতের হুমদোটি
অগ্রাহ্য করেছে। অধিকন্তু
ঝুমকো লতার জঙ্গলে মায়াহীন ভিজেছিল
মেনিটির মায়াকান্ত হাড়, তথাপি এ দৃশ্য

অনিত্যের। সেই বুঝে উৎক্রান্তির দিনে
বাঘ আর বেড়ালীকে দ্বৈতাদ্বৈতে ধরি যেই
লতাপুষ্প বলেছিল, অশ্রুময়
অযথা হয়ো না, ভেজা রানওয়ে পুনর্বার
রক্তবিন্দু ছড়িয়েছে, যাতে এ কবিতা
নিষিদ্ধের ক্রমবিন্দু হয়ে ওঠে।

ছবিঃ রামকিশোর ভট্টাচার্য

শ্রী ব্রহ্মার লালা থেকে এ অনঙ্গ নদী
দেবর্ষিদের কঠিন বর্জ্যজাত
এই টিলা (যেখানে শুটিং হয়েছিল ‘নায়ক’এর)
গিরস্তি বলেই কিছু নেই, কিছু মন্দির আছে
ওম বোঙ আদি ছায়াধ্বনি চমকে চমকে
উঠে পরন্তু
মনুষ্যাকৃতি কিছু মাংসপিণ্ড দেখা যায়
চক্ষুহীন মহিষেরা প্রমাদবশত ঘাস খেতে আসে
পাখি ওড়ে কিন্তু কভু মাটিতে নামেনা

যারা জালালাবাদকে, তরাই-মেকং- অনাদির ভোরকেও
আনতে চেয়েছিল, তাদের শ্মশানচিহ্নে
পরজীবী কেউ কেউ কবিতা আওড়ায়
গানও গায়, অধিকন্ত যারা
গেরস্তের মৃতচিহ্ন হয়ে প্রতীক্ষায় আছে
(কিসের প্রতীক্ষা না জেনেই),
তাদের মাথায় উঠে বুনো করবীর ঝাড়
কনুইয়ে পদ্ম কাঁটার কারু, মুখে
মুখ ভর্তি জিভ, দেখেছিল অতিশীর্ণ
কুকুরীর পিঠে ততোধিক চতুর শিয়াল
বৃষ্টির সহিত নামা দেবীদের রজঃ রক্ত
পাখ পাখি পক্ষীদের মরাশিস
সংকেত ছড়ায়: নগরীর খোকা হোক
ঠাকুর, এ নগরীর খোকা খুকু হোক

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]