অরিন্দম গোস্বামী


গেটের ভেতরে গাড়িটা ঢুকিয়ে চিত্রক বলল – নাম আর লোকেশন থেকে তো এটাই মনে হচ্ছে। তুই কি একবার নেমে গিয়ে দেখবি? আমি বললাম – নামার আগেই দেখেছি – ঐ যে ডানদিকে, পরিস্কার লেখা রয়েছে।

ছুটি কাটাতে আমরা সচরাচর এইরকম এক-একটা জায়গাই খুঁজে বের করি‌। আমরা বলতে – আমি, রজত, গিরিজা আর চিত্রক। একসময় আমরা সবাই একক্লাসে পড়তাম। তারপর যে যার মত ছিটকে বেরিয়ে পড়ে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। বছর সাতেক আগে আবার এক জোট হয়ে ঠিক করেছি – ইয়ে দোস্তি হম নেহি ছোড়েঙ্গে। আর তারপর থেকেই নিজেদের জগতে হাঁফিয়ে উঠলে বেরিয়ে পড়ি এখানে ওখানে। দুটো কি তিনটে দিন পুরোনো দিনের কথা বলে বলে নিজেদের চার্জ করে তবেই আবার ফিরে আসি।

এবারের যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করা ছিল গতমাসেই। ওদের চাকরি আর ব্যবসার অবস্থা অনেক স্টেবল। অন্তত আমার তাই মনে হয়। আমারটা যে পেকে এসেছে, একটু হাওয়া বইলেই খসে পড়বে টুপ করে – সেটা আর ওদের আমি বলিনি। বিছানার ওপর রজত সিগারেটের প্যাকেট রেখেই চান করতে চলে গেছিল। আমি ওখান থেকে একটা বের করে নিয়ে বারান্দায় এসে ধরালাম। ফোনটা বের করে দেখলাম – টাওয়ারের অবস্থা খুব খারাপ। ইমারজেন্সি কল হলেও হতে পারে। কিন্তু নেট কানেকশন একেবারেই নেই।


এই তো সেদিন। অফিসের গেট দিয়ে ঢুকে নিজের জায়গায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই সিকিউরিটি নবীন বলল – সাহেব আপনাকে খুঁজছেন।

একবার ওয়াশরুমে যাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু বিপদ বুঝতে পেরে আগে দেখা করে নেওয়াই ভাল মনে হল। কাচের দরজা ঠেলে ঢুকেই বুঝতে পারলাম, আবহাওয়া থমথমে। আমার ওপরের তিন অফিসার তখন টেবিলের ওপাশে। এপাশে আমি একা। বুঝতে পারলাম, এবার সব ঝড় ঝাপটা আমাকেই সহ্য করতে হবে। জলের ধর্ম-ই তো এমন। স্নেহের মতোই – নিম্নগামী।

টার্গেট মিস, ওপেন মার্কেট, অল-আউট অ্যাটাক, সার্ভিস প্রসিডিওর, মান্থলি মনিটরিং – এই সব শব্দগুলো বুলেটের মত টেবিলের ওপার থেকে ছুটে আসছিল। আর আমি জোয়াল কাঁধে বলদের মত নিরূপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।
এইরকম সময় আমি একটা কৌশল অবলম্বন করি। প্রথমে চোখের ফোকাসটাকে ইনফিনিটি-তে পাঠিয়ে দিই। তারপর একেবারে অন্যরকম একটা কথা ভাবতে থাকি। একটু পরেই চারপাশের কথা আর আমার মাথায় ঢোকে না। গিরিজা বলে, ঐ সময় আমার মুখে নাকি একটা অদ্ভুত হাসি ফুটে ওঠে – অনেকটা মহাপুরুষদের মতো। কিন্তু আজকে কিছুতেই সেই মোড-টা অন করতে পারলাম না।

একসময় হায়েস্ট রেভিনিউ এনে দিয়েছি। তাই একেবারে তাড়িয়ে দেয়নি এখনও। কিন্তু, ইনক্রিমেন্ট থামিয়ে দিয়েছে। এখন যারা ধমকে উঠছে, তাদের মধ্যে দুজন আমার চেয়ে জুনিয়র। সন্ধ্যায় এসব কথা মনে পড়লে, চট করে নেশা হতে চায় না। সেটাও একটা লোকসান। এমনিতে আর মাত্র কয়েকটা বছর, তার পর আর কাজ করব না, ঠিক করাই আছে। ভেবেছিলাম, গাল-গল্প করে সময়টা চোখ কান বুঁজে ঠিক কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

হঠাৎ একটা অদ্ভুত কথা মাথায় এল। অনেক টাকা খরচ করে একটা ওয়াশরুম তৈরি হয়েছে এই বিল্ডিং-এর টপ ফ্লোরে – এম. ডি. সাহেবের জন্য। ঠিক করলাম, পাওনা গন্ডা বুঝিয়ে দিলে, সোজা চলে যাব ওখানেই। কেয়ারটেকার ছেলেটার হাতে কিছু ধরিয়ে দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে হিসি করে, সোজা বেরিয়ে রাস্তায় চলে যাব। ভাবতেই খিলখিল করে হাসতে শুরু করে দিলাম। সামনের অফিসার তিন জন-ই তখন উঠে দাঁড়িয়েছে।


ছবি ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়


দুপুরে খাওয়া হল একেবারে চর্বচোষ্য। ভাত, ডাল, বেগুনভাজা, লিকলিকে সজনে ডাঁটা দিয়ে আলুপোস্ত – মানে ভাবাই যায় না। মাছের পিসটা এতো বড় ছিল যে – আমার হোম সার্ভিসের মৃণালদা একে অনায়াসে দু-টুকরো করে সকালে আর বিকেলে চালিয়ে দিতেই পারত। চাটনি আর পাঁপড় দিয়ে খাওয়া শেষ করে ঘরে ঢুকলাম আমরা। ঘরের চার কোনে চারটে সিঙ্গল খাট। দেওয়ালে এসি। চিত্রক ধপাস করে উবুড় হয়ে শুয়ে বলল – অনেকটা পথ গাড়ী চালাতে হয়েছে, এখন আমি ঘুমাবো, একদম ডাকবি না।

বাকিদেরও একই অবস্থা। বিছানা যেন ডাকছিল। ঠিক এই সময় আমার চোখটাও যখন জড়িয়ে এসেছে, তখন হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে উঠল। অফিসের নাম্বার। দুবার বেজেই কেটে গেল। উঠে বসে রিং ব্যাক করলাম। এবার আবার দুর্বল সিগন্যাল। কিছুতেই যাচ্ছে না। ফোনটা হাতে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম। বাইরে বেশ রোদ। হেঁটে হেঁটে গেস্ট হাউসের সামনের গেট খুলে বাইরে এলাম। এখানে এসে টাওয়ারের একটা-দুটো দাগ দেখা গেল। কিন্তু ফোন করা গেল না। উল্টে ফোন কাঁপিয়ে একটা মেসেজ ঢুকল। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল – এখন তো আমার ঝাড়গ্রামের এই জঙ্গলের মধ্যে থাকার কথা নয়। আমার আজকে থাকার কথা আসানসোলে। ফোনটা বন্ধ করে দিলাম।

ফেরার পথে একটা ঠান্ডা জলের বোতলের খোঁজে ওদের ডাইনিং রুমে ঢুঁ মারলাম। আমাদের খাবার জায়গাটা পুরো ফাঁকা। পাশের রান্নার জায়গায় মাটিতে বসে খাচ্ছিল ওরা পাঁচজন। একজন পুরুষ বাকিরা মেয়ে। মেয়েদের মধ্যে তিনজন মাঝবয়সী। পুরুষ মানুষ দেখতে পেয়েই খাওয়া থামিয়ে বলল – কিছু লাগবে নাকি?

ওদের ব্যাঘাত ঘটাতে ইচ্ছে করল না। বললাম – না, না। তোমরা খাও। আমি বিকেলে গাড়ি নিয়ে কোথাও যাওয়া যায় কিনা, সেই খবর নিতে এলাম। এখানে কোনো সানসেট পয়েন্ট আছে?
ওরা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চায়ি করল। আমি কথা পাল্টে বললাম – সামনে কোনো বড় লেক আছে? বা একটা পাহাড়, যেখানে চট করে ওঠা যাবে?
লোকটা বলল – আছে তো। গাড়ি নিয়ে যায় অনেকেই। খ্যাঁদারাণী লেক আছে। ওর থেকে আরেকটু দূরে পাহাড় আছে তো – গাঢ়ড়াসিনি। এখান থেকে চাকাডোবা চলে যান – তারপর এই দশ কিলোমিটারের মধ্যেই।

তোমাদের এখানে স্পেশাল কী পাওয়া যায়, খাওয়ার? একজন মহিলা বলল – পাতাপোড়া হবে।

– পাতা পোড়া?

– হ্যাঁ, শালপাতার মধ্যে মুরগির মাংস মশলা দিয়ে বেঁধে ধিমে আগুনে পুড়িয়ে রান্না।

– এইটা আলাদা পড়বে, বাবু- লোকটা বলল।
আমি বললাম – বেশ। আর তোমরা যা খাও এমন একটা কিছু?
এক মহিলা বলল – ডিমের চাটনি?

– ডিমের? কিসের ডিমের?

– পিঁপড়ার। চলবে?
আমি পিছিয়ে এলাম। বললাম – ওদের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি।
আমার মোবাইলে আবার মেসেজ ঢোকে – টেক ইয়োর ফাইনাল ডিশিসন।

ছবিঃ ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়


বিকেলে ঘুম থেকে উঠে চিত্রক বলল – চল, কোথাও একটা ঘুরে আসি।
রজত বলল – আমি তো জেগেই আছি। কখন থেকে।
গিরিজা বলল – আমার ঘুম একবার আসছে আবার ভেঙে যাচ্ছে। খাওয়াটা বোধহয় একটু বেশি হয়ে গেছে।
আমি পরিষ্কার দেখেছি, তিনজনেই অঘোরে ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু কিছুই বললাম না। আমার মনে একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল – সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

চটজলদি তৈরি হয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম সবাই। রাস্তায় খানিকটা এগিয়ে ডাটা অন করে দেখলাম নেট আসছে। এবার কিছুটা গুগল ম্যাপ সার্চ করে, আর একবার একজন পথচলতি মানুষের কাছে পরামর্শ নিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম। জঙ্গলের ভেতর সরু রাস্তার মাঝে একটা ছোট্ট জলস্রোত। আমরা সবাই নামলাম। গোড়ালির একটুখানি ওপরে জল। চিত্রককে গাড়ি নিয়ে পেরোতে বলে, আমরা তিনজনেই হেঁটে পার হলাম। খ্যাঁদারাণী লেক-এর পাড়ে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই সূর্য আকাশের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এলো। যারা ওখানে গেছিল, তারা তখন অনেকেই ফেরার পথে। কয়েক জোড়া প্রেমিকযুগল তখনও সূর্যের রক্তিম কিরণ মেখে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। টিয়াপাখির দল গোল হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে তাদের বাসায়। জলাশয়ের জলে নানান রঙ খেলা করছে, শেষ বারের মতো।

একদিকে বাঁধ দিয়ে জলটাকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে চারটে স্লুইস গেট। গেটের ওপরে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে গা ছমছম করে। পাশেই ঢালু জমি। ওপরে নুড়িপাথর ছড়ানো। অসাবধানে কেউ কাছাকাছি চলে এলে আর নিজেকে থামাতে পারবে না।

গিরিজা পেছন থেকে চিৎকার করে উঠল – অতো ধারের দিকে এগিয়ে যাস না।
চিত্রক বলল – এই শোন। তোর সঙ্গে আমার একটা কথা আছে। এখানে নয়, গেস্ট হাউসে বসে সবাই মিলেই বলব।
রজত মুখের থেকে সিগারেটটা হাতে নিয়ে বলল – দেশলাইটা আছে না, তোর কাছে?
আমি পায়ের সামনে পড়ে থাকা একটা পাথরের টুকরো পা দিয়ে জোরে ঠেলতে গিয়ে একটু হড়কে গিয়ে ওখানেই বসে পড়লাম। পাথরটা পড়তে থাকল লাফিয়ে লাফিয়ে অসম্ভব গতিতে, ছুটতেই থাকল – যতদূর দৃষ্টি যায়।
আমার পকেটের মোবাইলটা হঠাৎ কোন মন্ত্রের জোরে বেজে উঠতে লাগলো।
তিনজনেই ছুটে এল আমার কাছে। আমি নিচের দিকে আর তাকিয়ে থাকতে পারছিলাম না। ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম – আমার তিন বন্ধুর হাত আমার দিকে বাড়িয়ে রাখা আছে।

গাঢ়ড়াসিনি পাহাড়ের চূড়ায় তখন শেষ বিকেলের আলো।

আমি আমার ডান হাতটা ওদের দিকে বাড়িয়ে দিলাম।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]

0 0 ভোট
Article Rating
15 Comments
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
প্রতিভা
5 months ago

ভালো লাগল গল্পটি। সব কথা বলা হয়নি, পাঠকের কল্পনার ওপর ছেড়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু একটা রহস্য, একটা অস্বস্তি লেগেই থাকে। সেটাই টানে।
বন্ধুদের বাড়ানো হাত খুবই পজিটিভ মেসেজ দেয়৷

Ramkrishna Pramanik
Ramkrishna Pramanik
5 months ago

বেশ আড্ডাবাজ আর ভ্রমণপিপাসু লোক, যাহোক। এখনকার দিনে, অফিসের ঐরকম টেনশন নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছে। তবে খুব একটা নিশ্চিন্তে নেই। বেশ টেনশনেই আছে বোঝা যায়, মোবাইলে সিগন্যালের আসা যাওয়া পাঠকদের মধ্যেও একটা টেনশন তৈরি করে দেয়। তবে বন্ধুরা তো পাশেই আছে, ভালই হবে – শেষমেশ।
ভাল লাগল।

পার্থ সারথি বণিক
পার্থ সারথি বণিক
5 months ago

ওপেন মার্কেটের টার্গেট গল্পের ‘ আমি ‘ কে পতনের কিনারায় নিয়ে এসেছে। তাকে আবার জীবনে ফিরিয়ে আনছে বন্ধুর হাত। প্রতিযোগিতায় দীর্ণ আজকের কর্পোরেট কর্মসংস্কৃতি যে কর্মীকে ‘ জোয়াল কাঁধে বলদে ‘ পরিণত করেছে তার পরিত্রাণের জন্য চাই মানবিক সহযোগিতা। এই কথাটা ভ্রমণ কাহিনীর মোড়কে অরিন্দমবাবু বেশ পরিবেশন করলেন! লেখককে ধন্যবাদ।

আইভি চট্টোপাধ্যায়
আইভি চট্টোপাধ্যায়
5 months ago

ভালো লাগলো।

রঞ্জন ভট্টাচার্য
রঞ্জন ভট্টাচার্য
5 months ago

পরিস্থিতির বৈপরীত্য, দ্বন্দ্ব শেষপর্যন্ত টেনে রাখল। ভাল লাগল।

রঞ্জন ভট্টাচার্য
রঞ্জন ভট্টাচার্য
5 months ago

পরিস্থিতির দ্বান্দ্বিকতা শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল। খুব ভাল গল্প

Asim Haldar
Asim Haldar
5 months ago

লেখার হাত তো খুবই ভালো সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বন্ধু তো তারাই যারা বিপদে বা দরকারে হাত বাড়িয়ে দেয়। এ গল্প তাঁদের কাছেবখুব সমাদৃত হবে যারা বিভিন্ন রকমের প্রাইভেট কোম্পানির খুব খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে রুটি রোজগারের জন্য মুখ চেপে কাজ করে যান অনেক রকমের ভাষা শুনতে শুনতে। এখানে দেবার আছে সর্বশেষ মাত্রার। কিন্তু প্রাপ্তির বেলায় য়া জোটে টা দিয়ে সংসার তো চলেই না উল্টে টিকে থাকাটাই বেশ চ্যালেঞ্জর হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় অণুগল্পের মতো গল্পটি অনেক কিছু বুঝে নেবার জন্য পাঠকের কাছে দরজা খুলে রেখেছেন। হঠাৎ করে চমকে দেবার মতো শেষ হয় গল্পটি। মাথায় ঘুরতে থাকে বন্ধুদের হাত বাড়িয়ে দেবার বিষয়টি এটা না থাকলে বোধহয় গল্পটাই হত না। অভিনন্দন অফুরান আমার একজন প্ৰিয় গল্পকার অরিন্দম গোস্বামী দাদার সৃষ্টিকে।

পলি দেবপাল।
পলি দেবপাল।
5 months ago

খুব ভালো লাগলো। শেয পর্যন্ত পড়ার ইচ্ছেটা একই রকম ছিল।ইয়ে দোস্তি হম নেহি ছোড়েঙ্গে। আরো আরো চাই লেখা।

Manasi Ganguli
Manasi Ganguli
5 months ago

খুব সুন্দর লাগল। একদিকে যেমন সুন্দর বর্ণনা, অন্যদিকে অফিসের ঝামেলা। সঙ্গে বন্ধুদের বাড়িয়ে দেওয়া হাত।

Manasi Ganguli
Manasi Ganguli
5 months ago

খুব সুন্দর লাগল। একদিকে যেমন সুন্দর বর্ণনা, অন্যদিকে অফিসের ঝামেলা। সঙ্গে বন্ধুদের বাড়িয়ে দেওয়া হাত।

Sourav Howlader
Sourav Howlader
5 months ago

চমৎকার লেখা।
“আমারটা যে পেকে এসেছে, একটু হাওয়া বইলেই খসে পড়বে টুপ করে”
অনবদ্য উপস্থাপনা।

Rajdip Bhattacherjee
Rajdip Bhattacherjee
5 months ago

আপনার গল্প যেটুকু পড়েছি তাতে দেখেছি যে চড়া প্লট থাকে না। এখানেও নেই। ভালো লাগলো।

Nandini Adhikari
Nandini Adhikari
5 months ago

বেশ লাগলো। প্রাত্যাহিকতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেতেই তো আমরা প্রকৃতির কাছে ছুটে যাই। কিন্তু আমরাতো পিঁপড়ের ডিম খেয়ে সারাজীবন সেখানে কাটিয়ে দিতে পারি না। তাই নাগরিক জীবনের সমস্যাও আমাদের পিছু ছাড়ে না।

Anindita Mandal
Anindita Mandal
4 months ago

বেশ ইতিবাচক গল্প। পা ফসকাতে ফসকাতে জীবনে ফেরা। ভালো লেগেছে।

কাকলি দেবনাথ
কাকলি দেবনাথ
4 months ago

বেশ ভালো লাগল। ঝরঝরে গদ্য। কোথাও হোঁচট খাইনি।