গ্লোসাইন বোর্ডের আড়ালে জীবনের সাদাকালো সিল্যুয়েট
একটা টিনএজ ক্লাসরুম কীভাবে যেন ঐচ্ছিক বিষয়ে ঢুকে পড়ে
কমনরুমের কোরাসে বসন্ত কেবিনের জানলা খুলে যায়
কলেজ জীবনের দুরন্ত অ্যালগরিদম
রাজনীতি তখন একটা আত্মবিশ্বাসের জায়গা
বখাটে বেঞ্চের ওপর শব্দের তুফান ছোটানো দুই বেণীর জুঁই দাস
ওর রক্তে রাজনীতির বন বন হাওয়া

আমাদের হস্টেল জীবন
জড়ামড়ি সুতোর বানান খুলে খুলে
মহড়া সাজাতাম
চিৎকার করে গাইতাম পল রবসন
গাইতাম কারার ওই লৌহকপাট …জুঁইয়ের লিডে

আমাদের অনেকেই আজ যে যার মতো
কেউ গড়িয়ে গেছে জীবনের একপেশে বারান্দা খুঁজে
মার্কশিটের ল্যামিনেশনে ঢুকে গ্যাছে হলুদ মেঘ
শুধু লক্ষ্যে স্থির থেকে
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে জুঁই
ওকে দেখে এখনও বুকের ভিতর দামামা –
এখনও পল রবসন
অন্ধকারের ভিড় ঠেলে শত শত পথশিশুর হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে জুঁই
হেঁটে যাচ্ছে আজকের নারী
নতুন এক আলোর ঠিকানায়

ছবিঃ প্রভাত ভট্টাচার্য

শরীরে গাছের রক্ত মিশিয়ে দিয়েছিলেন
পিতৃপুরুষেরা
সেই থেকে গাছ দেখলেই
ছায়ার গল্প লিখি

মগডাল ছুঁতে চাইলে
নিজের পা দুটোকেই সিঁড়ি ভাবি

কখনও আছাড় খেলে মাটি আঁকড়ে ধরি
যেন মায়ের আঁচল

সমস্ত রক্তাক্ত শ্লোক
ঢেকে যায় মাটির শুশ্রূষায়

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]