আদিগন্ত সুর
তোমার সকাল ছুঁয়ে থাকে আমার বিকেল
হয়তো একটু মায়া জমে শীর্ষে। সেতারের
সাতপাতা উল্টে নতুন সুরেরা
এ পৃথিবীকে ডেকে বলে গ্রহতারাদের চমৎকার সব।
সে এক মহাজাগতিক মন্ত্র
রঞ্জনরশ্মির তালে বয়ে যেতে যেতে
বদলে দেয় পঙ্গু পথদের। কোথাও একটু
কোমল লেগে থাকে। কোথাও একটু তীব্র।
সা একটু ঝুঁকে রেখা টানে নি এর গায়ে
তানবীজ সব উড়ু উড়ু, কে কার সভায় যাবে কে জানে
সব গিঁট খুলে দেখা যায়, উজান বেয়ে উড়ে যায়
ঘর ভাঙা রাত, একটা তেঁতুল পাতায় লেগে থাকে
একটুখানি সকাল, যাবৎ উপশম
এ সময় ক্ষত হতে ভালো লাগে না একটুও
বারো পংক্তির মন
শূন্যের ভিতর দিয়ে একটা চিরকূট এলো
ভোরের। মন স্থির। একটুও
শ্বাসকষ্ট নেই।
দু’একটা ঢেউ চলেছে একটা নদীর খোঁজে।
হাতে নয়াপয়সা। মানস-ঝড়ের হাওয়া থেকে
মুখ তোলে একদল তিরতির পাখি।
তারা কেউ নদীর শরীর নিয়ে, চলন নিয়ে
কিংবা ঈশান কোনে ঝুলে থাকা মেঘদের হা-হা নিয়ে
ভাববে না কখনও। কোনও বিভাজিকাও নেই।
এসময় সব পরিচয় ম্রিয়মান হয়ে যায়।
মাটি ধুয়ে গেলে কিভাবে বোঝাবো
তাদের বোলগুলি যেসব খাদের সৃষ্টি করেছিল
সেগুলো এখন আর আশ্চর্যের হতে পারে না-
অনেকদিন মনে থাকবে কোথাও একটু কোমল লেগে থাকে, কোথাও একটু তীব্র।
দুটো কবিতাই ভালো। কিন্তু প্রথমটা অসাধারণ। এ সময় ক্ষত হতে ভালো লাগে না –অনবদ্য। ধীমান চক্রবর্তী
দুটো কবিতাই দুর্দান্ত! অভিনন্দন ভাই।