একটা নিমগাছ রোজ কথা বলে।
রাতে তার স্বর খামাজের আলাপে কাঁদে
অতীতের গর্ভ থেকে রোজ একটু একটু করে
তার শরীরে রক্তের ভাস্কর্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
খুব ভোরে ক্লান্ত নিমগাছ এক পশলার জলে স্নান করে, আবার তার আদুড় গায়ে
অলংকারে সেজে ওঠে

মেঘ- বাতাসে তার প্রত্যেকটা পাতা পেঁজা তুলোর মত উড়তে থাকে
অতীতচারণার আলাপে রোজ সে সুকুমার ভোরের কাছে এক গন্ডুষ মেঘ চায়
তার অবসন্ন গর্ভে যখন নিমফল আসে
বৃষ্টি-বিকেলে তাদের কাছে চিরকুটে তার অতীত জমা রাখে

রোজ সে আপন মনে কথা বলে
আপন মনে কি কথা বলে সে?

বৃষ্টি- শেষের আলোয় নতুন গোধুলির পাখা গজায়
আলোর টুকরোই তো, কখন আবার মুখ ফিরিয়ে চলে যায়!

তবু এইটুকু আলো, এই হাওয়ার মৃদুমন্দ কথা
তবু মেঘ-জলে তার শরীর চুঁইয়ে বেয়ে পড়ে স্বচ্ছ ব্যথা।
থাক এটুকু, এই গোধুলির হাওয়া-রঙের আলোয়
প্রদাহ আর পিপাসায় ঋজু-নক্ষত্রদের আসা যাওয়ায়
থাক এটুকু পরিণত আলো।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, জুলাই ২৪, সূচিপত্র]