বিশ্বের সবকটা ধর্ম যদি আমরা গভীরভাবে লক্ষ করি, তাহলে দেখা যাবে একজন কেউ আছেন যাকে ভগবান, গড, আল্লাহ্‌, ইয়াওয়ে (Yahwah) – যে কোন নামেই ডাকা হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঈশ্বর নিরাকার – তাঁর নির্দিষ্ট কোন আকার নেই। কিন্তু তাঁর অস্তিত্ব নিয়ে কোন ধর্মেই কোন সন্দেহ নেই। আমরা সাধারন মানুষরা, যাঁরা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী, অনেকেই নিরাকার থেকে সাকার ঈশ্বরকেই বেশী পছন্দ করি। আমাদের প্রশ্ন, তিনি কি আছেন? থাকলে কি অবস্থায় আছেন – নিরাকার না সাকার? আমাদের বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনায় তাঁর অস্তিত্ব কিভাবে উপলব্ধি করতে পারি?
বিজ্ঞানের চোখ দিয়ে ঈশ্বর দর্শন কেমন হতে পারে, তার একটা ধারনা করার জন্য এই লেখা। অবশ্য উল্টো দিকটাই, আমরা দেখি, সাধারনভাবে বেশী চালুঃ ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার একটা সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চালু ছিল, আছে। সুযোগ পেলে ঈশ্বরের ধ্বজা বিজ্ঞানের ওপর ওড়ে। কয়েকটা উদাহরণ দিই। যেমন, কয়েক বছর আগে ‘হিগস বোসন’ আবিষ্কার নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে হইচই হয়েছিল। আর, তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তাবক পিটার হিগস, সার্ণের গবেষণাগারে এই কণার আবিষ্কারের ফলে নোবেল পুরষ্কার পান। এই কণাটার চালু নাম হোল ‘ঈশ্বর কণা’ বা ‘God Particle’। পদার্থবিদ্যার অন্যতম জটিল এক আবিষ্কারের সাথে ঈশ্বরের নাম যোগ হওয়া ভীষনভাবেই আকস্মিক। এটা সবাই জানে, একজন নোবেল বিজ্ঞানীর কথা, সাংবাদিকের বদান্যতায় ‘God damn Particle’ কিভাবে ‘God Particle’-এ পরিণত হল! অথচ এই ঈশ্বরের সাথে কণা পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক নিয়ে দিস্তে দিস্তে কাগজ খরচ হোল! এমনও শোনা গেল, এই আবিষ্কারের সাথে ঈশ্বরের নাকি প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে!


আরেকটা ঘটনার উল্লেখ করি। আসি স্বামী বিবেকানন্দর কথায়। ১৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে শ্রী প্রমদাদাস মিত্রকে এক চিঠিতে তিনি লেখেন, (তখনও স্বামী বিবেকানন্দ হননি!) “………Theory of Conservation of Energy (শক্তির নিত্যতা – এই মতবাদ) ইউরোপে একপ্রকার Scientific (বৈজ্ঞানিক) অদ্বৈতবাদ প্রচারিত হইয়াছে, কিন্তু তাহা পরিণামবাদ। আপনি ইহার সহিত শঙ্করের বিবর্তবাদের যে পার্থক্য দেখাইয়াছেন তা অতি উত্তম।…” শুধু এই না।
সাধারনভাবে আমরা জানি, কোন তরঙ্গ প্রবাহিত হতে কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, যেমন, শব্দ, তাপ, ইত্যাদি। কিন্তু আলো যখন সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসে তখন শুন্য মাধ্যম দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিভাবে আলো মাধ্যম ছাড়া প্রবাহিত হয় সেই ভাবনা থেকে বিজ্ঞানীরা ইথার নামের এক সর্বব্যপ্ত মাধ্যমে প্রস্তাব দেন। তাঁরা বলেন, ইথার এক ভরহীন, অদৃশ্য, সর্বব্যপ্ত, স্থিতিস্থাপক এক মাধ্যম, যেখানে আলো বা অন্যান্য তড়িচ্চুম্বক তরঙ্গ সহজে যাতায়াত করতে পারে। ইথার আছে না নেই – এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের নিজেদের মধ্যা ও না-বিজ্ঞানীদের সাথে প্রবল তর্ক বেধে গেল। স্বামী বিবেকানন্দ কিন্তু ইথারের পক্ষে কলম ধরলেন। ১৮৯৫ সালে নিউইয়র্ক মেডিক্যাল টাইমসে ‘The Ether’ নামে এক প্রবন্ধ লেখেন। এখানে তিনি ‘ধর্মের বিজ্ঞান (Science of Religion)’ নামে একটা কথার প্রচলন করেন। সর্বব্যপ্ত ইথারের মাধ্যমে মহাজাগতিক বৃহৎ ঘটনা এবং আণবিক স্তরের ঘটনা বর্ণনা করতে সক্ষম, কিন্তু ইথারকে বুঝতে হলে এক অসীম মনের প্রয়োজন। সমস্ত জড় বস্তু যেমন দেশে সীমাবদ্ধ তেমনি মন কালে সীমাবদ্ধ! অর্থাৎ দেশ-কালের (Space-Time) সাথে মনকে যোগ করে দেওয়া হোল! (এক পরাবাস্তবতা!) অবশ্য মাইকেলসন ও মর্লি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করেছিলেন ইথার অস্তিত্বহীন! এই পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইনস্টাইন বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব প্রকাশ করেছিলেন।


এই চিরবিতর্কিত বিষয় নিয়ে আবার কেন লেখার প্রয়োজন সেটা একটু বিস্তারিত হচ্ছি। কিছুদিন আগে মণি ভৌমিকের ‘Code name God’ এবং খুব সম্প্রতি স্টীফেন হকিংয়ের ‘Brief Answers to the Big Questions’– এই দুই বই পড়তে পড়তে বিপরীতমুখী দুটো চিন্তাধারার উদ্ভব হোল। দুজনেই প্রথিতযশা বিজ্ঞানী। আর ঈশ্বরের ব্যাখ্যা দুজনের কাছে দুরকম। আমরা একে একে দুজনের ব্যাখ্যায় আসছি।
‘Code name God’-এ মণী ভৌমিক মহাবিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার সাথে ঈশ্বরের সম্পর্কের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন,” বিজ্ঞান নিজেকে মেকী ভগবান বলে প্রমাণ করেছে, আর তার বিশ্ব-দর্শন অনেক ক্ষেত্রেই হতাশাজনক।……… আধ্মাত্যিক এবং বৈজ্ঞানিক সত্য, দুটোই মানব সভ্যতায় অপরিহার্য। বিস্ময়করভাবে, যে বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করেছিল, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণার ফলে আমাদের বয়স-প্রাচীন বিশ্বাস – ব্রহ্মান্ড-অতীত কোন শক্তির জন্য প্রমাণ সম্প্রসারিত হচ্ছে।“ কুড়িটি অনুচ্ছেদে তিনি এই তত্ত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
স্টীফেন হকিংযের ‘Brief Answers to the Big Questions’ বইটা দশটা বিভিন্ন প্রবন্ধের সমাহার। বিভিন্ন যে বিষয়গুলো নিয়ে বলেছেন, তার মধ্যে একটি প্রবন্ধ “ঈশ্বর কি আছেন? ( Is there a God?)” ‘আমরা কেন এখানে?’ বা আমরা কোথা থেকে এসেছি?’ – এইধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন ধর্ম তাদের ভাষায় দেবার চেষ্টা করত বা এখনো করে, বিজ্ঞান যুক্তির ওপর ভিত্তি করে এগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করে। তবে, বিভিন্ন ধর্মের উত্তর কিন্তু মোটামুটি একঃ ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আমরা, সাধারন মানুষরা, ঈশ্বরের ওপর ভরসা রাখতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি, বিজ্ঞানের যুক্তিকে বুঝতে বা বিশ্বাস করতে চাইনা। এই প্রসঙ্গে হকিং বলেছেন, “ভগবানের প্রতি আমার কোন বৈরিতা নেই। ভগবান আছেন – এটা প্রমাণ বা অপ্রমাণ করার কোন তত্ত্ব খাড়া করতে চাইছিনা। আমাদের চারপাশের মহাবিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাইছি।“
মহাবিশ্বের সব ঘটনার পেছনেই কোন না কোন নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। আমরা যদি বলি, এই নিয়মগুলো ঈশ্বর তৈরী করেছেন, তাহলে বলা যেতে পারে এটা ঈশ্বরের সংজ্ঞা হতে পারে, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ নয়। যদি আমরা ধরে নিই, প্রকৃতির সব নিয়ম নির্দিষ্ট, তাহলে সেখানে ঈশ্বরের ভুমিকা কি? হকিং বলেছেন, “যদি আমরা প্রাকৃতিক নিয়মগুলো জানতে পারি, তাহলে ঈশ্বরের মনও জানতে পারব। হয়ত এই শতাব্দীর শেষে এসে ঈশ্বরের মন জানতে পারা যাবে।“ ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে অ্যারিস্টারচাস (Aristarchus) নামের একজন দার্শনিক চাঁদের গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে করতে প্রশ্ন করলেন, এই গ্রহণ কি ভগবানের সৃষ্টি? তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্তে এলেন, চন্দ্রগ্রহণে প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ছে; এটা কোন স্বর্গীয় ঘটনা না! ঈশ্বর কি একটু টলে গেলেন? সেখান থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তিনি এলেন, মহাবিশ্বের মাঝখানে পৃথিবী না (যে ধারনা তখনকার ধর্মগুরুরা দিয়েছিলেন), বরং পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘুরছে।
ঈশ্বরের আরেকটা কাজ আছে, তিনি মহাবিশ্ব তৈরী করেছেন! কিন্তু বিজ্ঞান যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে মহাবিশ্ব সৃষ্টির এক নির্দিষ্ট উত্তর শিগগীরই পাওয়া যাবে। হকিং বলেছেন, “ভগবান আছেন কিনা – এই প্রশ্ন মনে হয়, বিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত। কারণ আর কিছুই না, কে বা কি এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন এবং তাকে নিয়ন্ত্রন করছেন – এর উত্তর খোঁজা আরো বেশী মৌলিক বলেই আমার মনে হয়।“

Aristarchus

মহাবিশ্ব সৃষ্টির যে তত্ত্ব আমরা জানি, মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব, সেখানে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে শুন্য থেকে। হ্যাঁ, শুন্য থেকেই। সেই সৃষ্টির প্রাথমিক সময় অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছিল। ঈশ্বরের এই নিয়ম ভাঙার কোন স্বাধীনতাই ছিলনা!
জটিল এই মহাবিশ্বের তিনটে বিষয় ভীষন গুরুত্বপূর্ণঃ ১) বস্তু (Matter)– যার ভর আছে। এই বস্তু যা কিছু হতে পারে – ধুলো, পাথর, গ্যাসের বিরাট মেঘ, ছায়াপথ – সারা মহাবিশ্বে এক বিশাল দুরত্বে ছড়িয়ে আছে। (দুরত্ব যে কত বিশাল, তা আমাদের সাধারনের ধারনার বাইরে! আমাদের পৃথিবীকে কেন্দ্র করে যদি এক গোলক কল্পনা করি, তাহলে তার ব্যাস হবে 93×109 আলোকবর্ষ বা 8.8×1026 মিটার!) ২) শক্তি (Energy)। শক্তি সারা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঘটাতে সাহায্য করছে এবং গতিশীল রাখছে, ক্রমাগত জায়গা পরিবর্তন করে যাচ্ছে। ৩) মহাবিশ্ব তৈরী হতে তৃতীয় যে বিষয় লাগবে, তা হচ্ছে দেশ বা স্থান (Space)। যখনই আমরা তাকাই তখন দেশ দেখি, আরো দেশ, আরো দেশ। কত বিশাল তা আমরা আগেই বলেছি। এখন প্রশ্ন হোল, শুন্য থেকে শুরু হয়ে এই বস্তু, শক্তি বা দেশ কোথা থেকে এল? আইনস্টাইনের তত্ত্ব থেকে জানি, বস্তু ও শক্তি সমতুল্য। কাজেই বলা যেতে পারে, শক্তি এবং দেশ কোথা থেকে এল? বিজ্ঞান বলছে, মহাবিস্ফোরনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই, প্রাকৃতিক নিয়মেই শক্তি ও দেশ এসেছে। এটা যেন অনেকটা বেলুন ফোলানোর মত। শক্তির এই ধারনার মধ্যে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু লুকিয়ে আছে – ঋণাত্মক শক্তির ধারনা। এই অদ্ভুত ধারনা কিভাবে তৈরী হচ্ছে? বিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রুবক -এটা আমরা সবাই জানি। মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় এই বিরাট পরিমাণ ধনাত্মক শক্তি কোথা থেকে এল? আমরা যদি মাটি খুঁড়ি, তাহলে এক জায়গায় গর্ত তৈরী হয় আর মাটির একটা ঢিপি তৈরী হয়। মোট মাটির পরিমাণ একই থাকে। শক্তির ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যাপার হচ্ছে। যে পরিমাণ ধনাত্মক শক্তি উৎপন্ন হয়েছে, সমস্ত মহাবিশ্বের কোটি কোটি নক্ষত্রমন্ডলী থেকে ঠিক সমপরিমাণ ঋণাত্মক শক্তি তৈরী হচ্ছে, এবং এই ঋণাত্মক শক্তি সমস্ত দেশ বা স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে, মহাকর্ষ এবং গতি সংক্রান্ত সুত্রের ফলে। ফলে মোট শক্তির পরিমাণ সবসময় শুন্য হচ্ছে। এটা একটা প্রাকৃতিক নিয়ম।
আবার, যদি আমরা বড় মাত্রা ছেড়ে যদি ছোট মাত্রায় যাই, অর্থাৎ আণবিক স্তর থেকে নামতে নামতে পারমাণবিক স্তরে বা নিউক্লিয় স্তরে যাই তাহলে সেখানে যে নিয়ম কণারা মানে তা হোল কোয়ান্টাম বলবিদ্যার নিয়ম। আর হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব অনুযায়ী, নিউক্লিয়াসের কোন এক জায়গায় প্রোটন এক মুহূর্তের জন্য প্রতীয়মান হয় আবার অদৃশ্য হয়ে যায়, আবার অন্য কোথাও প্রতীয়মান হয়। ভগবান কি এই কোয়ান্টাম সুত্র তৈরী করেছেন যা মহাবিস্ফোরন হতে সাহায্য করেছে? স্বর্গীয় সৃষ্টিকর্তার চাইতে বিজ্ঞানের কাছে বোধহয় আরো নির্দিষ্ট প্রমাণ আছে।
বড় প্রশ্ন হোল, কেন আমরা এখানে? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ না আর আমাদের এর উত্তর খুঁজতে কিছুটা লড়াইই করতে হবে। কিন্তু আমরা যদি বলি ভগবান মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন, তার উত্তর হবে, না। কারন, মহাবিস্ফোরনের আগে বলে কিছু নেই, সময়ের মান তখন শুন্য! মহাবিস্ফোরনের মুহূর্তে দেশ ও কাল শুরু হয়।
কাজেই কেউ মহাবিশ্ব তৈরি করেন নি, আর আমাদের ভাগ্যও কেউ নিয়ন্ত্রন করেন না। পরজন্ম বলে কিছু নেই, এটা কেবলমাত্র কষ্টকল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। পৃথিবীকে আমরা আমাদের যুক্তি দিয়ে বিচার করব, এবং সেই থেকেই জীবনের চলার সিদ্ধান্ত নেব।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, জুলাই ২৪, সূচিপত্র]

0 0 ভোট
Article Rating
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
শিশির দাশগুপ্ত
শিশির দাশগুপ্ত
3 months ago

গুরুত্বপূর্ণ লেখা।