স্বপ্ন বোনার শেষে
পরিত্যক্ত রাণওয়ে জুড়ে নেমে এলো সাতটি ধবল বক।
তারপর মিলেমিশে হয়ে গেল
তোমার সরল হাসি,
যার বর্ণবিশ্লেষণে পাই এক আশ্চর্য লিপস্টিকের গন্ধ।
সে গন্ধ মনের ঝাঁপিতে রেখে
অন্ধ শ্রমণ পথ চলছে এক যুগ ধরে।
তোমাকে ছুঁতে চাওয়ার স্বপ্ন বুনতে বুনতে
ফেলে আসা পথের
সব স্পর্শ -বর্ণ-গন্ধের সমাহার
তাকে জিতেন্দ্রিয় করে তোলে।
স্বপ্ন সাকার হলে
শেষ দরজা আর দূর মনে হয় না।
ভাঙাগড়া
সাগরবেলার বুকে ভেঙে পড়ে
সময়ের তরঙ্গ উচ্ছ্বাস।
আলোর আশ্চর্য চকমকি
ভরে দিল ভোরের ক্যানভাস।
বিষাদ-শ্রাবণ চোখে যে লাবন্য
একা বসেছিল মূক,
দুরন্ত মাধুর্যের আলিঙ্গন পেয়ে
সে এখন অপার সুখের মতো সুখ।
আমি একে ভাঙাগড়া বলি।
না ভাঙলে কিছুই গড়া হয় না আবার।
অমিতের কবিতা এক পাহাড়ি ঝর্ণার কলতান মুখরিত স্রোতস্বিনী যা আমাদের চিত্তহরণ করে।
যে ভাঙতে পারে, সে সবসময়ে গড়তে পারে না। উল্টোটাও সত্যি। যে গড়তে পারে সে ভাঙতে নাও পারতে পারে।
কবি অমিত মুখোপাধ্যায়ের কবিতা নদীর মতো অনায়াস ভঙ্গিতে এক পারে ভাঙেন, অন্যপারে গড়ে তোলেন শব্দের বহুমাত্রিক ইমারত।
ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো