ইচ্ছেমত প্রযোজনা
ইচ্ছেমত নির্দেশনা
ইচ্ছেমত সম্পাদনা
ইচ্ছেমত প্রচার
ইচ্ছেমত সঙ্গীত ও আলো;
আমরা মাতি অভিনয়ে সবাই মিলে
আমরাই সাজি শিহরিত দর্শককুল
মঞ্চে শুধু দ্রুত পিছলে যাওয়া প্রক্ষিপ্ত রঙিন আলো ।

বেশ থাকি যতক্ষণ না ভারী কালো পর্দা নেমে আসে
জ্বলে ওঠে হল ভরা উজ্জ্বল সাদা আলো
খবর রাখি না গ্রীনরুমের
বাইরে বেরিয়ে গরম ফিশ ফ্রাই আর চা লাগে খুব ভালো।

দীপ নিভু নিভু হয়ে আসে বার বার
পৃথিবী জুড়ে সুখের ঘরে,
হরিণের দল চোখে কম পড়ে আজকাল
ধরণীর সবুজ আঁচল ছিন্নভিন্ন
প্রজাপতির রং বিবর্ণ
চায়নি যেতে তারা ফুলের সংশ্রব ছেড়ে।

মানুষেরা জেগে ঘুমায় অপরূপ কৌশলে
হাসিমুখে ব্যস্ত নিজের বিধানে নিজের নিধনে
স্মৃতি বড় কম মানুষের, ইতিহাস সাক্ষী
তবুও বলে না কথা গোপনে নিসর্গের সাথে
প্রলোভনের ঘুণপোকা কুরে কুরে খায়
প্রাণপণে ভিড় জমায় সোনা রুপোর সাজানো দোকানে।

আমাজনের অরণ্য থেকে সুন্দরবনের বাদাবন
এবং পৃথিবীর যত উজ্জ্বল শান্ত সবুজ তৃণভূমি
দীপাবলির রোশনাই জ্বালাবে বলে করে উৎখাত
দৌড়ে বেড়ায় দিগন্ত ছুঁয়ে দিগন্তে,
জ্বলে দাবানল বাজে প্রলয় বিষাণ
ইতিমধ্যে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে দিগন্তবিস্তৃত নিষ্করুণ মরুভূমি।

এক চিলতে ভালোবাসা দিতে পারে না দুপেয়ে বুদ্ধিমানরা
হতে চায় ভূতপ্রেতেদের একচ্ছত্র অধিপতি
স্বর্গের দেবতা হতে চেয়ে
আবাহন করে নরকের ভোগ
অহমিকা ঔদ্ধত্যে সাজে অন্ধ বধির অচেতন
স্বর্ণমৃগ সন্ধানীরা বোঝে না ধংসই একমাত্র নিয়তি।

[লেখকের অন্য রচনা]

[পরম্পরা ওয়েবজিন, নভেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]