
রাখালবাবুর ভ্রমণ বৃত্তান্ত
পর্ব – ২
বেশ কিছুক্ষন কাটালেন সমুদ্রতীরে রাখাল বাবু। দেখতে লাগলেন জলক্রীড়া। গিন্নী, মেয়ে জামাই নাতি সবাই ছবি তুলতে লাগলো। তারপর সেলুলার জেল অভিমুখে রওনা দিলেন। পথে পড়লো ভারতের জাতীয় পতাকা।

১৯৪৩ সালে স্বাধীন হয় আন্দামান। দেখলেন ফুটবল মাঠ। এখানে কোচিং করাতে এসেছিলেন আমাদের ঘরের ছেলে সুকান্ত ব্যানার্জী। সেলুলার জেলে গিয়ে দেখলেন ভিড় ভিড় আর ভিড়। থিক থিক করছে লোক। ঢুকেই ডানদিক বাঁদিক মিউজিয়াম।

সেখানে পিল পিল করে লোক ঢুকছে। ঠেলাঠেলি করছে আর দেখছে। দেখছে আর ঠেলেঠেলি করছে। কিচ্ছু অনুভব করছে না। যেন দেখতে হয় তাই দেখা। কে বলেছে দেখতে ? নাঃ, এভাবে সম্ভব নয়। তাই রাখাল বাবু শুধু প্রত্যেকের দেখে যাওয়া দেখতে লাগলেন।

সন্ধ্যে বেলা আলো ও শব্দের মাধ্যমে সেলুলার জেল যখন জীবন্ত হয়ে উঠলো, বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা বলা হতে লাগলো, তখন রাখাল বাবুর চোখে নেমে এলো জল আর রাখাল গিন্নীর চোখে ঘুম। ভোর চারটেয় উঠতে হয়েছে কিনা।

মাত্র একশো পঁচিশ বছর আগে যেসব ঘটনা ঘটত এখানে তা অবিশ্বাস্য,অসহনীয় ও ঘৃন্য। কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির বাহাত্তর বছর পরে আমরা কতটুকু সম্মান দিতে পেরেছি সেই সব মরনপণ সংগ্রামীদের ? আমাদের আচার আচরন স্বভাব চরিত্র যদি কিছুটাও তাঁদের থেকে আহরন করতে পারতাম তবেই হোত প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন। একটা পার্ক বা একটা বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তনে কি এসে যায় ?

রাখাল বাবু র অনুভবের সঙ্গে একাত্ম হলাম।
সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অল্প কিছু মানসিকতা গ্রহণ করতাম, দেশ আজ অন্য রকম হতো।
পাশের বাংলা দেশের অবস্থা ও এক। মুক্তি যুদ্ধ কে সবাই ভুলতে বসেছে!
রাখাল বাবু র অনুভবের সঙ্গে একাত্ম হলাম।
সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মানসিকতা যদি অল্প ও গ্রহণ করতাম, দেশ আজ অন্য রকম হতো।
পাশের বাংলা দেশের অবস্থা ও এক। মুক্তি যুদ্ধ কে সবাই ভুলতে বসেছে!