রাখালবাবুর ভ্রমণ বৃত্তান্ত
পর্ব – ১
চললেন রাখাল বাবু আন্দামানে। চিরদিন প্লেন লিভিং অ্যান্ড হাই থিঙ্কিং এ বিশ্বাসী তার যাওয়া আসা দুটোই প্লেন এবং সিম্পল। কিন্তু এয়ারপোর্টে পৌঁছেই কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। প্রথমে নিজের সাতমনি বস্তাটি যার পোষাকি নাম লাগেজ ( কেউ কেউ বলেন ল্যাগেজ যেটা শুনে রাখাল গিন্নীর হাড় পিত্তি জ্বলে যায় ), সেটির স্ক্যান করালেন। যদিও জানেন বস্তা ঠেলার থেকে টানা সহজ তবু উত্তেজনার বশে সেটি ঠেলতে ঠেলতে যথাস্থানে গিয়ে সমর্পন করে বোর্ডিং পাশটি হস্তগত করলেন।
কিন্তু বিপত্তি শুরু হোলো এরপর। সিকিউরিটি চেকিং এ তাঁকে বেল্ট খুলতে হোলো। আর বেল্ট খুলতেই তাঁর প্যান্ট হড়কে নেমে এলো। এমতাবস্থায় তিনি মানিব্যাগ আর মোবাইল ট্রে তে দিতে ভুলে গেলেন। ফলে অফিসারের ধমক। আর ধমক খেয়ে তিনি মানিব্যাগ আর মোবাইল ফোন একহাতে আর অন্য হাতে প্যান্ট ধরে ফিরে গিয়ে দেখেন লম্বা লাইন পড়ে গেছে। তাই তিনি মানি ব্যাগ হিপ পকেটে এবং মোবাইল সাইড পকেটে রেখে আবার লাইনে দাঁড়ালেন। প্যান্ট ধরে আছেন যথারীতি। এদিকে রাখাল গিন্নী ওপার থেকে সব দেখে বিস্ময়ে আকুল হয়ে এদিক পানে চেয়ে আছেন। হঠাৎ রাখাল বাবু খেয়াল করলেন প্যান্টের ভেতর পা বরাবর কি যেন নেমে আসছে। ইঁদুর নাকি ? না তো ! তবে কি মানি ব্যাগ ?
তবে কি ওটা হিপ পকেটে না ঢুকে লুজ কোমরের ভেতর ঢুকে গেছে লুজ ক্যারেকটারের মত? তিনি লাফাতে লাগলেন লরেলের মত। একজন হেল্পার ছুটে না এলে কি যে হোত! তিনি ভাবলেন এবার থেকে এখানে পাজামা আর ফতুয়া পরে আসবেন। যাই হোক আন্দামানে পৌঁছে কিন্তু তাঁর মন ভালো হয়ে গেল। শহরটাকে এক নজরে ভালো লেগে গেলো। ঝকঝকে সবুজ গাছ আর মন মাতানো নীল সমুদ্র একেবারে পাশাপাশি। বিকেলে গেলেন কার্বিন্স কোভ। আহা কি সুন্দর! এমন ছায়াঘেরা বীচ কোথাও দেখেননি তিনি।
রাখাল বাবু র ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে আমার প্যান্ট ঢিলে হয়ে গেল!
আবার চেপেচুপে গল্প পড়লাম ও পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম!!