বক্তব্য এই নয় যে আমি আমার কথা বলতে চাই,
বরং কিছু কথা চেপে রাখাই দরকারী। বড় দরকারী।
অথচ একটা মেঘের থেকে আরেকটা মেঘে কালো
ছড়িয়ে যায়। ছড়িয়ে পড়া ছায়ার মধ্যে আলো, একা
একার চোখে। আলোর নীচে এত করুণ
অন্ধকার
অন্ধ
কার যেন স্বর
স্বর বেয়ে আর্ত…
একটি আর্তির দায় অপর আর্তির সাথে মিশে
বক্তব্য শুরুর আগে
গলা চেপে ধরে।
যারা জানতে চায় – বলো, বলো, সত্যি করে বলো… বলো

বলা যায় না। প্রতিটি জন্মের পিঠে গল্প লেখা থাকে–
যেমন ঝলক পুড়িয়ে গেল চোখ, শব্দ এলো না।

আমিত্ব অন্ধকারে রেখে আমিটি ছায়াময়
ময়তা অর্থে সমগ্র কেমন পৃথিবী জড়িয়ে
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে যেন এইমাত্র
পাতা ফাঁদে পড়েছে পাখিটি অথচ জানেনা
ভাবছে এখনও সময় আছে উড়বার,
সেই মতো ডানা শূন্যে– হাওয়ায়
ঝাপটায় মন ও মনীষা প্রেম বোধে এক ফাঁকে
আলো এসে পড়ে যদি, বলে, ছেড়ে দাও
অথচ খিদে প্রবল, লোভ, জিভ থেকে জল
গড়িয়ে মিশেছে সাগরে, সমুদ্রের চেয়ে নোনা
ঘাম, রক্ত– সামান্য দেখা যায় চোখে চোখে
এবং সেইখানেই হেরে যাওয়া বিধেয়

ছায়াময় আমিটি আয়নার বুক জুড়ে পর্দা টাঙিয়ে রাখে
তার চোখে চোখে নাচে ভয়; পাখিটি জানেনা
উড়ান বারণ নেই তার তবু তো সে
উড়তে ভুলে গেছে…

ছবিঃ আন্তর্জাল

[পরম্পরা ওয়েবজিন, আগস্ট ২৪, সূচিপত্র]