উৎসব ফুরিয়ে এলে
আকাশে বিষাদ সানাই
মন্দিরে ধুনোর গন্ধের রেশ
ফুরোয় নি তখনো
শরত সন্ধে ভরে থাকে
ঢাকের আমোদী উচ্ছাসে
তোমার পায়ের আলতা আভাস
শাড়ির লুকোনো ছোঁয়া বিভাবরী চন্দনের অলকাতিলকা
চোখের পালকে
লজ্জার কাজল রঙ
হাতছানি দুরন্ত…
হেমন্তের আলো নিভে এলে
একফালি রূপোরঙা মনকেমন
চিরায়ত প্রেম বোধনের আলো ,
দরদালানের
আনাচ কানাচে বছরকার আনন্দ
ম্লান হয়নি তখনো
শুধু জ্বলজ্বলে দেবী মুখে
বিচ্ছেদের সিঁদুরে আভাস
উমার আঁচল লুটিয়ে গেছে
ফেরার কাঁটাতারে
মেঘের আঙিনা জানে সেই নকশি রূপকথা
আর বালুচরে নিশানা রেখে যায়
যাক, যেটুকু যাবার কথা
যাক
কত আর আঁকড়াতে পারে
রোদ জলের এ জীবন
তারার আকাশ আর
ছায়াপথ মেখে থাকে
অপার হরগৌরী আলোয়…

কিছু তারা তখনো জেগে ছিল
আকাশের উজ্জ্বল নীলের ভেতরে
কিছু বৃষ্টি ফোঁটা যেমন
জলের পুকুরে ভেসে থাকে টুপটাপ
কিছুদূর হেঁটে যাও
বালিয়াড়ি ঘিরে জেগে থাকে
কাঁটাঝোপ ,পাথরের স্তুপ
ফাঁকে ফাঁকে বাষ্প সমূহ
লিখে রাখে কথাকলি …
চাঁদের মায়ায় ভেজা রাস্তায়
হেঁটে আসে সাইকেলে কিশোর কিশোরী
কথাদের সাথে কথাদের দেখা হয়
পায়ে চলা পথে ,
ঘাসের উপরে পড়ে থাকে শব্দশিশির
হেঁটে যায় দিগন্ত ছাড়িয়ে
আমাদের প্রত্যেকের আছে,
এমনতর ছোটো বড়ো পথের ইতিকথা
যেখানে নীলাভ আলোয়
ভেসে আসে কস্তুরী কথার সুবাস
এই নাও রাগ কলাবতী …
কথাহীন হৃদয় ভাসুক
ঝিরিঝিরি অমোঘ বৃষ্টিপাতে

[পরম্পরা ওয়েবজিন, ডিসেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]