মরিস ডেরা বিচে বসে রাখালবাবু ভাবতে লাগলেন এবার ঘরে ফেরার পালা। এই বিরাট পৃথিবী, এই বিপুল অনন্তের মাঝে নিজেকে অতি ক্ষুদ্র মনে হোল। সি বিচ থেকে কিছু মৃত কোরাল ও মৃত পঞ্চমুখী শঙখ কুড়িয়ে ছিলেন। জানলেন ওগুলি নিয়ে যেতে পারবেন না। এয়ারপোর্টে আটকে দেবে। অবশ্য এগুলি কিনেছেন তার প্রমাণ পত্র দেখালে আলাদা কথা। এগুলি তিনি আন্দামানেই রেখে গেলেন। রেখে গেলেন আরো অনেক কিছু। যেমন গতকালের ডাবওয়ালীর ব্যবহার এবং প্রবীন চা বিক্রেতার সততা। এই হৃদ্যতা, এই অথিতিপরায়নতা তিনি নিয়ে যেতে পারলেন না। রেখে গেলেন আন্দামানের ভূমিতে।
ফেরার সময় বারাতাং এর খাঁড়ির অভ্যন্তরে ভেজা জমিতে এখানকার আদি অধিবাসী কিছু শিশুদের খেলতে দেখলেন। তাদের ছবি তোলা বারণ। রাখালবাবু ভাবতে লাগলেন আরো কতদিন লাগবে এদের মূল স্রোতে ফিরতে কে জানে। রাখাল বাবু নিজের চোখের ক্যামেরায় তাদের ছবি তুলে মনের হার্ড ডিস্কে আপলোড করে রাখলেন। তিনি ছাড়া আর কেউ এ ছবি দেখতে পাবেন না।

( শেষ)

[পরম্পরা ওয়েবজিন, নভেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]

0 0 ভোট
Article Rating
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
Dr Dipak Banerjee
Dr Dipak Banerjee
2 months ago

দারুন সরস ভ্রমণ কাহিনী! অভিনন্দন!