আত্মার অনুশীলন ছাড়া কোনও কাজ নেই তোমার
ছিন্নভিন্ন কথা যদি কিছু থাকে — আদৌ কিছু থাকে —
তাকেও নিয়মে ফেলে নিতে হবে, সহ্য করতে হবে
মেধার অমল দুঃখ, গাছের পাতার চাপে পড়ে থাকা কোনও পাকা ফল

এসব কেবলমাত্র কথার কথা নয়
মগজে বিউগেল বাজলে যেমন উত্তাল ঢেউ ওঠে
যেমন অস্পষ্টভাবে ভেসে ওঠে, “চলো, শুরু করো—”
তখনই পরীক্ষা শুরু, তখনই নদীর বাঁকে মন দেওয়া-নেওয়া

কখনও স্বপ্নের মধ্যে শব্দহীন বজ্রপাত হয়
কখনও ঘুমের মধ্যে ঘেমে-নেয়ে এক শা’ আকাশ
কখনও জ্যোৎস্নার জলে স্নান সারা, কথাদেরও করে আসতে বলা—
এসবই আত্মার দাবি। এসবই অনুসন্ধান চেয়েছে পৃথিবী।

আর কোনও কাজ নেই তোমার। শুধু খুঁড়ে-যাওয়া ছাড়া।
আর কোনও কাজ নেই তোমার। শুধু প্রদীপের সলতেটুকু উসকে দেওয়া ছাড়া।

তোদের কাছে যাচ্ছি না যে
তার পিছনে কারণ আছে
আসল কারণ প্রাচীন দুঃখ
নিস্তরঙ্গ স্রোতে বাঁচে

কিভাবে তার ব্যাখ্যা যে দিই
নিজের দিকে তাকাই নিজে
দুঃখ তখন এক ভিখারি
হঠাৎ রেগে ওঠেন ব্রিজে

বাক্‌বিতণ্ডা প্রচুর ঝঞ্ঝা
বইতে থাকে রীতিমতো
কোথাও ফাঁকি থাকে না তার
দিনের সর্ব-অঙ্গে ক্ষত

অভিমানের মস্ত পাহাড়
আগুন-মুখে দাঁড়িয়ে থাকে
মেঘের ছায়া কোথায় পাবো
প্রশ্ন ঘোরে কথার ফাঁকে

এসব নিয়েই মিলেমিশে
ডিপ্রেশানে দাঁড়িয়ে আছি
দাঁড়িয়ে আছি গাছের মতো
অস্তাচলে যেমন মাছি

যাচ্ছি না যে তোদের কাছে
তার পিছনে মস্ত কারণ
ব্যাখ্যা আমার যুক্তিনিষ্ঠ
বলছে, “তোমার যাওয়া বারণ”।

ছবিঃ আন্তর্জাল

[পরম্পরা ওয়েবজিন, আগস্ট ২৪, সূচিপত্র]