বীনাপাণি
সরস্বতী বিদ্যা দেবী আরাধ্যা সবার ঘরে
তবু কেন বছর বছর মানুষ মরে অনাহারে।
তোমার বীনার ঝংকারেতে
যে সুর বাজাও প্রাণে
সে সুর কেন প্রবেশে না মা
সকল দুর্বৃত্তের মনে?
শ্বেত বসনা, তুমি মাগো
শান্তি রূপে বিরাজিতা
তবে কেন পিশাচের হাতে
শ্বেতারা আজ লুন্ঠিতা।
বীনাপাণি তুমি মাতা
আসো সুর তোলাতে
কেন সে সুর আজ পারে না মা
পাষান হৃদয় গলাতে।।
বিদ্যাদেবী তুমিই তো মা
শিক্ষা বিলাও ঘরে ঘরে
বিদ্যা কেন আজ কেঁদে মরে
পথের ধারে, পথের পরে।।
বিশালাক্ষী যদি হও মা
বেঁধেছ কি চোখ এই বেলা
দেখতে কেন পাওনা তুমি
চলছে এসব কোন খেলা??
নীহারিকা তুমি যে মা
পবিত্র শিশির বিন্দু,
অক্ষরা তুমি, ঋদ্ধিমা তুমি
জ্ঞানের অপার সিন্ধু।
শ্বেতপদ্মাসনা চন্দ্রিকা তুমি
স্নিগ্ধ আলোর ছটা।
জ্ঞান চক্ষুর অন্তরালে চলছে আজ
অজ্ঞানতার ঘনঘটা।
বিদ্যা বলো, শিক্ষা বলো
কাগজেই কি সব হবে শেষ
সৎ সাহসের, সৎ কাজের
থাকবে না কি কোনোই রেশ???
একটি মৃত্যু
একটা মৃত্যু শিখিয়ে গেল
মৃত্যুই নয় শেষ কথা
মেরুদন্ড সিধে রাখতে
সইতে হয় অনেক ব্যথা।
এই মৃত্যুই শিখিয়ে গেল
ঘুমন্ত জাতির জনজাগরণ
শিরদাঁড়া টি না ঝুঁকিয়ে
কিভাবে হয় গণ আন্দোলন।
অন্যায়ের সাথে আপোষ নয়
সব অবস্থায় ন্যায়ের সাথ
ন্যায়ের পথেই আসবে সুদিন
সবাই ধর ন্যায়ের হাত।
এই জাগরণ শুদ্ধিকরণের
সমাজ সংস্কারের গণজাগরণ
অন্তরাত্মার পূনর্জন্মের
এই আন্দোলন নবজাগরণ।
এই মৃত্যু শিখিয়ে গেল
দিন-রাত্রি আলাদা নয়
চব্বিশ ঘন্টা সবার সময়
এক মিনিটও কম বেশি নয়।
মৃত্যুতেই জানি সব মানুষের
হয় নিশ্চিত হার
কিন্তু এই মৃত্যু নিজেকে হারিয়ে
জীবনকে দিল,জেতার অঙ্গীকার।