-একটা সাইকেল ধার দিতে পারিস ?
মোবাইলের ওপার থেকে তনুময় বলে ওঠে। উৎসব এপারে চুপ করে থাকে একটু। তারপর বলে
-কি করবি সাইকেল নিয়ে ? তোর জন্য আজও কি কেউ -অপেক্ষা করছে নাকি বার্লো গার্লস্ এর মোড়ে ?
-না না তা নয়। একটু ঘুরে দেখতাম শহরটাকে।
-এই পঁয়ত্রিশ বছরে পুরো শহরটার খোল নলচে পাল্টে গেছে ভাই। আর সাইকেল তো এ শহরে এখন ঠিকঠাক চালানোই মুশকিল।
ফোনের ওপারে তনুময় কি একটু হতাশ হ’ল ? উৎসব দেখতে পায়না। বলে
-কত নম্বর ঘরে উঠেছিস ?
-তুই আসবি ?
তনুময় উৎসাহিত হয়ে ওঠে
-না-আমার মর্নিং শিফ্ট শেষ হতে হতে বেলা দুটো। তুই নাম্বারটা বল্ । আমি ফোন করলে নিচে নেমে আসবি।
-আমি রেডি বস্
উৎসব আবার বলে
-আর শোন-দেবারতিদের বাড়ির মোড়টা কিন্তু পাল্টে গেছে। ওদের বাড়িটা এখন আটতলা। ওরা তিনতলায়।
-গুরু কি করে বুঝলে মাইরি
-রেবতিবাবুর প্রাইভেট ব্যাচে জ্যামিতির চোদ্দটা উপপাদ্যের বাইরেও তো দু একটা এক্সট্রা ছিল বস্
-তুই মাইরি গ্রেট
তনুময়ের কথা কেটে দিয়ে উৎসব বলে
-সাইকেল পোঁছচ্ছে-মিনিট দশেক।
উৎসব ফোন করে। ওর এক বন্ধুর ছেলেকে। তনুময়ের হোটেল এবং রুম নম্বর বলে দেয়। তনুময় সাইকেল নিয়ে বেরোবে। বেরোক। পঁয়ত্রিশ বছর পরে। ওদের স্কুল রামকৃষ্ণ মিশনের পঁচাত্তর বছর পুর্তি। ওদের ব্যাচের সবাই না হলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশ ক’জন এসেছে ছেলেবেলার শহরে। তনুময় এসেছে ঝাড়খন্ড থেকে। শুভ্রনীল স্বপন অশোক সুব্রতদের জনাদশেকের একটা দল কবেই ফোনে ফোনে উদ্যোগ নিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনও করে ফেলেছিল। যেহেতু উৎসব এ শহরেই আছে তাই ওদের যত প্রশ্ন যত কৌতুহল ওকেই মেটাতে হচ্ছে। ওরা কেউ গতকাল রাতে কেউ আজ সকালে শহরে ঢুকেছে। গত তিনমাস ওদের ফোনে ফোনে উৎসব বুঝেছে ওরা ভাবছে ওদের ছেড়ে যাওয়া স্কুল ওদের ছেড়ে যাওয়া শহর ওদের ছেড়ে যাওয়া মাঠ নদী রাস্তা এমনকি ওদের ছেড়ে যাওয়া দেবারতিরাও একই রূপ একই রস একই গন্ধ মেখে বসে আছে। আসলে ছেলেবেলা ভাবতে বসলে ছেলেবেলাতেই চলে যেতে হয়। তখন নিজের বয়স নিজের চেহারা নিজের মন অবচেতনেই সেই হাফপ্যান্ট হাফশার্টে ফিরে যায়। আবার যেই নিজের চেহারায় নিজের বয়সে চোখ পড়ে ছেলেবেলা ঝাপসা হয়ে ওঠে। ওরাও যত ফেলে যাওয়া শহরের কাছাকাছি হচ্ছিল ততই ভুলে যাচ্ছিল নিজেদের বয়স। কখনও শুভ্রনীল
—-বন্ধু এসে পড়েছি। একবার বৃন্দাবনী মাঠে যেতে হবে। আমগাছটায় বহুত ঢিল মেরেছি একসময়
শুভ্রনীলের কথায় উৎসবের নিজেরই তো অনেকদিন পরে মনে পড়ল বৃন্দাবনী মাঠের কথা। এই শহরে থেকেও মাঠটায় আর যাওয়া হয়ে ওঠে কই ? বৃন্দাবনী মাঠ মানে একটা আকাশঢাকা আমগাছ। এখন মাঠটাকে কেমন জেলখানা মনে হয় উৎসবের। চারদিকে ফেন্সিং। একটা দিকে সূর্যঢাকা গ্যালারি। মাঠের কোথাও কোনদিন কোনও আমগাছ ছিল এখনকার প্রজন্ম হয়ত জানেইনা। গাছটা নেই। শুভ্র জানেনা। অথচ ওর মনের মধ্যে একটা বিস্তীর্ন মাঠ। মাঠের একপাশে একটা ঝুপ্পুস আমগাছ। খোলা হাওয়া। টিফিন পিরিয়ডে অথবা ছুটির পর আমগাছে লুকিয়ে ঢিল। দু’একটা আম প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নীল প্যান্ট সাদা জামার ক্লাস সেভেন কি এইটের দুদ্দার দৌড়। সেই দৌড় কারও কারও আজও থামেনি। পঁয়ত্রিশ বছর আগের শুরু হওয়া দৌড় আবার ফিরে এসে শেষ করতে চাইছে শুভ্রনীল।

উৎসব অনিবার্য বলে উঠেছিল মোবাইলের এপ্রান্ত থেকে
-গাছটা নেই শুভ্র
-নেই ? কি হয়েছিল ?
শুভ্রনীল এমনভাবে জিজ্ঞেস করেছিল যেন চেনা কোনও মানুষের চলে যাওয়ার খবর পেয়েছে।
-একদিন ঝড়ে
শুভ্রনীল একটু চুপ করে থাকে। তারপর বলে
-মাঠটাতো আছে ?
-আছে তবে তোর মতো করে নেই
-হুম্
শুভ্রনীল চুপ করে যায়। কিন্তু উৎসব বুঝতে পারে বয়স বেড়েছে তাই শুভ্রনীল মানিয়ে নিল। কিন্তু উৎসবের মনে হয় এ শহরে আসার আগে মনে মনে বৃন্দাবনী মাঠে এসে অনেক্ষন ধরে দাঁড়িয়েছিল শুভ্রনীল।
-কি হল বস্-চুপ মেরে গেলে কেন ?
শুনতে শুনতেই উৎসব দেখে অশোক মোবাইল স্ক্রীন খটখটাচ্ছে। উৎসব জানে স্কুলের অনুষ্ঠানে যারা এসেছে সবাই ওকে রিং করেই যাবে। ওরা ধরেই নিয়েছে উৎসব এ শহরে ওদের ছেলেবেলার পাহারাদার। এ শহরে এসে পড়ার পর ওরা সবাই নিজস্ব ইচ্ছের সরনিতে হাঁটছে।
-কি হ’ল বাওয়া
—-আবে বলছি লছমি সিনেমা হলটার ওখানে যেতে হবে
একবার
-কেন ওখানে কি ?
-মহানন্দার চর
-মহানন্দার চর ! উৎসব সত্যিই চমকায়
-কি আছে কি ওখানে ?
অশোক আস্তে আস্তে বলে
–অনেকদিন বাচ্চাদের ক্রিকেট দেখিনা
–সে তো যে কোনও মাঠে গেলেই দেখা যায়। ওতো এখন জাতীয় খেলা। বিরাট কোহলির চুল তো এখন জাতীয় হেয়ার কাটিং
-না রে-নদির চরে বাচ্চাদের ক্রিকেট। বল উড়ে গিয়ে জলের কাছাকাছি। মহানন্দার চরে তুইও তো খেলেছিস
অশোক এক নাগাড়ে বলে যায়। উৎসব চুপ করে শোনে। অশোককে বলতে পারেনা লছমি হল এখন নেই। ওখানে এখন আর্সেনিক ফ্রি জলের প্রকল্পের পাইপের ভীড়। মহানন্দার চরের ক্রিকেট তোদের সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত গেছে। নগরায়নের ফাঁকে ফাঁকে মহানন্দা মাঝে মাঝে সরু সুতোর মত উঁকি মারে।
-দীপংকর সৌমিত্রদের বলেছিস আসার কথা ? ওরাতো স্কুলের কাছেই থাকতো ?

ছবিঃ ডাঃ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়


উৎসব চুপ করে থাকে। অশোকরা ধরেই নিয়েছে ওরা যেভাবে যেখানে যা কিছু রেখে গিয়েছে সব তেমনি আছে। আবার ওদেরই এক একটা ফোনে উৎসবেরও তো অনেককিছু নতুন করে মনে পড়ছে। এই শহরে থেকেও উৎসবের আজ মনে হয় ও নিজেও তো অনেকেরই খোঁজ নেয়নি কতদিন। সৌমিত্রর মরে যাওয়ার খবরও তো উৎসব পেয়েছিল প্রায় বছরখানেক পর। সৌমিত্র হেঁটে যেত রাস্তা দিয়ে। কোর্টে বসতো নাকি মুহুরির কাজ করতো দেখা হলেও খোঁজ নেয়নি ভালো করে। নাকি সৌমিত্রও কিছুটা এড়িয়ে যেত ওকে। সৌমিত্রর মুখের কষ বেয়ে সারাক্ষন পানের রস নেমে আসতো। অবহেলায় শার্টের হাতা গোটানো। পায়ে অন্যমনস্ক জুতো। উৎসবও তো কোনদিন জিজ্ঞেস করেনি ওর কিভাবে চলে। ও কি করে। নাকি সফল ও অসফল বাল্যবন্ধু মুখোমুখি হলে অন্যরকম অস্বস্তি কাজ করে।
-কিরে চুপ কেন ?
অশোকের কথায় উৎসব সম্বিত ফিরে পায়। বলে
-সৌমিত্র মরে গেছে
-অশোকের গলায় নীরবতা নামে। বয়সের ধর্মে অস্বস্তি কাটিয়ে বলে
-স্কুলের সামনে বাড়ি ছিল। ওর আর দীপংকরের। সৌমিত্রর বাড়িতে যেতাম। জল খেতাম।
-তাই ?
-এখন তো অনেক বয়স হ’ল। বলতে অসুবিধা নেই। আসলে তখন আমার মা বাবা দু’জনেরই অফিস থেকে ফিরতে সন্ধে গড়িয়ে যেত। আমার স্কুলের পর একা একা তালা খুলে বাড়িতে ঢুকতে ইচ্ছে করত না। সৌমিত্রর সঙ্গে সঙ্গে ওদের বাড়িতে যেতাম। সৌমিত্রর মা আমাদের দুজনকেই খেতে দিত।
উৎসব শোনে। বলে
-বড় হয়ে গেলে কত লুকনো গল্প শেয়ার করা যায় বল্ ?
-হ্যাঁ তোরা জানতিস না। সৌমিত্র জানতো। মাসীমা আমার ব্যাপারটা বুঝতেন।
-তোর ক’টা ছেলেমেয়ে ?
-একটা। এইমস এ আছে। ঋষিকেশ এ।
-বৌ ?
-না চাকরি করেনা। আরে ছাড়-কখন আসছিস স্কুলে ?
উৎসব কাছে থেকেও সৌমিত্রর সবটা জানল না। অশোক দুরে থেকেও খোঁজ রাখেনি। একটানা দশ দশটা বছর একসাথে প্রতিদিন পাঁচ ছয় ঘন্টা কাটিয়ে ছিটকে যাওয়া। প্রাইমারির গ্রুপ ছবিটা শেয়ার করেছিল সুদাম। শুধু উৎসব কেন অনেকেই অনেককে চিনতে পারেনি। অনেক পরে দীপায়ন সেই সময়ের প্রাইভেট ট্যুইশনের ব্যাচের মেয়েদের গ্রুপ ছবিও পাঠিয়েছিল হোয়াটস্অ্যাপে। ওদেরই কারও মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের। দীপায়নের কাছে কোনও বন্ধুর নম্বর নেই। ছবি নেই। অথচ প্রাইভেট ব্যাচের বান্ধবীদের গ্রুপ ছবি আছে। যে যার মতো করে মনে রাখে। যোগাযোগ রাখে। উৎসব অফিস থেকে সোজা স্কুলে গেছিল। পাল্টে যাওয়া স্কুল। নেই হয়ে যাওয়া মাস্টার মশাই। খোলা বারান্দা। বারান্দা থেকে এখন আর রাস্তা দেখা যায়না যার শেষ মহানন্দার চরে। যে রাস্তার ধুলোবালিতে এখনও খুঁজলে পাওয়া যাবে পাশের স্কুলের দু’বিনুনি ঝুলিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েদের স্বপ্ন টিপ। উৎসব ছুটছিল। ওর সঙ্গে সঙ্গে ছুটছিল গোলমেলে হাওয়া। ছুটছিল বৃষ্টি রোদ কিংবা ভরদুপুর। যেখানে ক্লাসের পঞ্চাশ ষাট জনের মাথা ধড় কিংবা হাত পা একের সঙ্গে আরেকজনের মিলে মিশে যাচ্ছিল। কাউকে আলাদা করা যাচ্ছিলনা। উৎসব দেখছিল একটাই বেঞ্চে ওরা সবাই গাদাগাদি করে ঠেলাঠেলি করে বসে আছে। সামনের নিচু চৌকিটায় একটাই টেবিল চেয়ার। পেছনে একটাই ব্ল্যাকবোর্ড। অথচ অঙ্কের কুমারেন্দ্রবাবু ইতিহাসের সুশীতলবাবু বায়োলজির দিলীপবাবু বাংলার রাজরাখালবাবু এবং আরও আরও সব স্যারেরা একটাই ব্ল্যাকবোর্ডে একসঙ্গে মিলে ওদের পড়াচ্ছেন। প্রত্যেকের হাতে চক ডাস্টার। সবাই ওদের দিকে পেছন ফিরে।
-কিরে কি ভাবছিস ?
তনুময়ের আলতো ঠেলায় উৎসব বাস্তবে ফেরে।
-তুই কখন বেরবি ?
তনুময় একবার ইন্দ্রপ্রস্থ হোটেলের পাঁচতলার বিস্তীর্ন ছাদে চোখ বোলায়। স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে ডিনারে এখানে মিলেছে। ইষৎ স্মৃতিমেদুর সবাই। খুব শিঘ্রই ওরা আবার একত্র হবে কথা হয়েছে।
-এই আড্ডা ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে বল্ ?
তনুময় ছাদের কার্ণিশে ভর রেখে দাঁড়ায়। সিগারেটের ধোঁয়া টানতে টানতে পাশের ওভারব্রিজটার দিকে তাকায়। তনুময়রা যখন শহর ছেড়ে গেছিল তখন যানজট সবেমাত্র শুরু হচ্ছে। ব্রিজটাও। এখন আলো রং গতি সব মিলিয়ে অঞ্চলটায় সারাদিন মায়াদৃশ্য।
-তোর ট্রেন কটায় ?
-সাড়ে নটা
-বেরিয়ে পড়
-এখনই ? তনুময় ঘড়ি দেখে। বলে
-আরেকটু থাকি ?
-না
উৎসবের কথায় তনুময় উৎসবের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়।
-দেবারতি ওয়েট করবে
-হোয়াট্
তনুময় চমকে ওঠে।
-তুই বেরিয়ে পড়। হোটেলে যা। চেক আউট কর। স্টেশনে এনকোয়ারির সামনে দাঁড়াস। উৎসব নিচে নেমে এসে বাইকে স্টার্ট দিয়েছিল।। তনুময়ও বেরিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল এনকোয়ারির সামনে। চেনা শহরের প্লাটফর্মটা এখন অন্যরকম। আলোকিত। উচ্চকিত। উচাটন হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্টেশনে ঢোকার সিঁড়ির দিকে তাকিয়েছিল তনুময় আর সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসা প্রত্যেককেই উৎসব বলে ভুল করছিল। রাগও হচ্ছিল ওর। একসময় সত্যি সত্যি সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসে উৎসব।কিন্তু ওর পাশে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসছে কে ? তনুময় বিশ্বাস করতে পারেনা। কিন্তু এটাও তো সত্যি।
-কিরে কতক্ষন ?
তনুময় অবাক হয়ে দেখতে থাকে দেবারতিকে। যেভাবে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিল ওকে সেভাবে সেই অবস্থায় থেকে গেছে কি করে ও ?
-তুই দেখে আয় তো রিজার্ভেশন চার্টটা টাঙ্গিয়েছে কিনা
উৎসবের কথায় চটকা ভাঙ্গে তনুময়ের। নাহলে হয়তো দেবারতির দিকে অনন্তকাল তাকিয়েই থাকত তনুময়। দেখে দেবারতি চলে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মের দিকে। যেভাবে মাধবনগর ফার্মের মাঠ থেকে তনুময়কে ছেড়ে বাড়ির দিকে চলে যেত।
-দেবারতির মেয়ে
উৎসবের কথায় তনুময় অবাক হয়।
-আসলে এখনকার দেবারতিকে দেখলে তুই সহ্য করতে পারতিনা। সারাদিন বিছানায় । সারা ঘর জুড়ে নিয়তির দাপাদাপি।
-তাবলে ?
তনুময়কে থামিয়ে উৎসব বলে চলে
-দেবারতিই বললো। তনুময়ের মনের মধ্যে যে আমিটা আছে সেটাই থাক। সেই সময়টা খুঁজতেই তো সবাই এসেছে।
ট্রেন ছেড়ে দেয়। উৎসব দেখে ট্রেনের প্রত্যেকটা কম্পার্টমেন্টের দরজায় ওর একটা করে বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকটা কম্পার্টমেন্ট আলাদা আলাদা ইঞ্জিন নিয়ে আলাদা আলাদা দিকে চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকটার গায়ে আলাদা আলাদা জায়গার নাম লেখা।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, জানুয়ারি ২৪, সূচিপত্র]

0 0 ভোট
Article Rating
6 Comments
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
সুদেষ্ণা মৈত্র
সুদেষ্ণা মৈত্র
8 months ago

শেষটা আমায় ঘোরাক্রান্ত করে রেখেছে। এভাবে একইরকম রেখে দেওয়া যায় তাহলে! ভাগ্যিস একটা দেবারতি ছিলো, ভাগ্যিস একটা উৎসব ছিলো।

সঞ্জীব নিয়োগী
সঞ্জীব নিয়োগী
8 months ago

খুব স্মৃতিমেদুর গল্প। আলাদা আলাদা কম্পার্টমেন্ট, আলাদা আলাদা ইঞ্জিন। এটাই কঠিন বাস্তব।

উমাদাস ভট্টাচার্য।
উমাদাস ভট্টাচার্য।
8 months ago

ধন্যবাদ।

উমাদাস ভট্টাচার্য
উমাদাস ভট্টাচার্য
8 months ago

ধন্যবাদ।

Nabanita Sarkar
Nabanita Sarkar
8 months ago

শেষ লাইনটা অল্প কথায় অনেক কিছু বলে গেল। আমাদেরও একটা ছেলেবেলা ছিল একটা তনুময় একটা উৎসব একটা সৌমিত্র একজন রাজরাখালবাবু,আর একটি গাছ ছিল ( আমাদের ছিল কৃষ্ণচূড়া)। আজ ঐ রেলওয়ে কম্পার্টমেন্টের মতই আলাদা আলাদা জায়গার নাম বুকে নিয়ে সবাই। শুধু দেবারতিদের চোখে সেই একই রয়ে গেছে আমাদের ‘আমি’। ভালোলাগা।

উমাদাস ভট্টাচার্য
উমাদাস ভট্টাচার্য
8 months ago

👍👍👍