বড়দিন
স্কুল রেজিস্টার খাতায় বাচ্চাদুটোর নাম লিখতে গিয়ে হোঁচট খেলেন অভিজ্ঞ মানুষ অনুভব পাণ্ডে।হোলিচাইল্ড স্কুলের নিউ অ্যাডমিশন রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করছিলেন গার্জেনস ইন্টারভিউ এর সময়। দুটি নাম আর জন্মতারিখ দেখে খাতা থেকে চোখ তুলে সামনে বসা কত্তাগিন্নির ওপর চোখ বোলালেন একবার। খুব প্রয়োজন না পড়লে অকারণে কথা বলার অভ্যেস নেই মানুষ টার।এই কারণেই একটু সমঝেই চলেন গার্জেনরা।
চোখ তুলে জিজ্ঞেস করলেন—- এরা কি টুইন? বার্থডে সেম দেখছি।
— ইয়েস স্যার। বড়দিন। — চটজলদি উত্তর দিলেন ছেলেমেয়ে দুটোর বাবা তীর্থঙ্কর নন্দী।
এবার সামান্য হেসে ফেললেন স্বল্প বাক গম্ভীর মানুষ অনুভবআর তারপর যোগ করলেন—–ইউ আর এ সো লাকি পার্সেন অ্যান্ড ইউ হ্যাভ সোন ইওর গ্র্যাটিটিউড টু গড বাই দিস টু নেমস।
—-অ্যাবসিলিউটলি কারেক্ট স্যার—মুখে দরাজ হাসি তীর্থর——যীশু দত্ত অ্যান্ড শান্তা দত্ত। বার্থডে ইজ টুয়েন্টি ফিফথ মানে পঁচিশে ডিসেম্বর স্যার।
—– মানে,শুধু জগতের কাছেই নয়, আপনাদের জীবনেও পঁচিশে একটি পবিত্র দিন বলতে চাইছেন। —- খাতার কাজ করতে করতেই কথা বলছিলেন অনুভব।
——ইয়েস ইটস্ এ ভেরি স্পেশাল ডে টু আওয়ার ফ্যামিলি অলসো।— বলে ইশারায় পাশে বসা মিসেসকে দেখিয়ে মুচকি হাসলেন তীর্থঙ্কর।
—- রিয়েলি? — অনুভবের বিস্ময়ের শেষ নেই।
—-সি ইজ অলসো দ্য প্রোডাক্ট অব পঁচিশে।বাট দি মান্থ ইজ ডিফারেণ্ট।
—- হোয়াট?- —- – প্রায় -লাফিয়ে উঠলেন অনুভব।
মানে বৈশাখ। পঁচিশ বৈশাখ।
——- ইয়েস স্যার। সি ইজ রিলেটেড উইদ গুরুদেব।একদম ঠিকঠাক ধরেছেন স্যার ।
সো টুইয়েণ্টি ফিফথ ইজ এ ভেরি ভেরি স্পেশাল ডে টু আওয়ার ফ্যামিলি।
এবার খাতা বন্ধ করে চোখ ফেরালেন সামনের দিকে——টুয়েণ্টি ফিফথ ইজ রিয়েলি বড়া দিন টু ইউ।আণ্ড দ্যাট ডে ইউ আর লিভিং উইদ বোথ ঠাকুর অ্যান্ড গড। এনজয় দ্য ডে –স।
কথাটা কানে যেতেই তীর্থঙ্করের মনে হল— সত্যিই পঁচিশ দিনটা ওর কাছে সত্যিই বড়দিন। ভেবে দেখেনি কখনও। ঠিকই তো।ওই দিনটা সারা মাসের মধ্যেই অনেক বড় ওর কাছে।আর ওদের কোম্পানির কাছেও। কারণ ওই দিনই ওদের কোম্পানির পে —ডে।
সত্যিই ২৫তারিখ আমাদের কাছে, দুই মহামানবের জন্মদিনের জন্য চিরকাল বড় দিন!!
অভিনন্দন।
ভালো লাগলো।