আমরা যারা সত্তরের চুল্লীর আগুন দেখেছি
এসো, যে যার মতো করে তুলে নিই
সেখান থেকে একটুকরো কাঠ,
নিভন্ত, নেভেনি কিন্তু।
জাগিয়ে তুলি তোরাপ-দের, নিলোভনা ভ্লাসোভাদের
হাতে তুলে নিই ব্যুরেট ও পিপেট
মেপে নিই শ্রীভূষিত মানবের চারিত্রিক শুদ্ধতা৷
টলেমির পথ ছেড়ে চলে যাই কোপার্নিকীয় পথে
মঞ্চ থেকে নেমে হাতে তুলে নিই চলো
গ্যালিলিওর “দুই নব বিজ্ঞান”।
পারম্যুটেশন কম্বিনেশনে গড়ে তুলি
বিদ্রোহের স্বরলিপি
নিভন্ত চুল্লীর আগুন ধিকিধিকি জ্বলে
শাসকের শয়তানি আর প্যারানইয়া প্রকট করে
সেই আগুন লেলিহ হবে নিক্ষিপ্ত হলে
মাদুলি, কবজ, তাগা, তাবিজ
নিক্ষিপ্ত হলে আস্তাকুঁড়ে নীলা, পলা, বিড়ালাক্ষী
তারপর যাব ভিসুভিয়াসের কাছে
আদেশ করব – গলিত লাভায়
ছারখার করো স্বৈরাচারীর পম্পাই
তারপর, ইতিহাস সাক্ষী মেনে
ইজিপ্টের সেট বিদ্রোহ থেকে
বাংলাদেশের কোটা বিদ্রোহ ছুঁয়ে
শপথ নেব আমি, তুমি, সবাই
শেষ করবই স্বৈরাচারীর সুখ।

সমস্বরে বলব-
মা গো, শপথ পূরণ হলেই
মুখের কাছে ধরো পায়সের বাটি।

একটি বৃত্ত আঁকো।
এঁকেছ?
বৃত্তে ছেটাও কালো রঙ
স্বৈরাচারের রঙ কালো।
ছিটিয়েছ?
বৃত্তের প্রেক্ষাপটে দাও লাল
ওটা প্রতিরোধের রঙ।
এবার একটি ব্যাস আঁকো
বৃত্তটি দু’টুকরো হবে।
দু’টুকরো করেছ?
আঁকো আরও আরও ব্যাস
বৃত্তকে খন্ড খন্ড করো।
করেছ?
এবার প্রতিটি খন্ড দুমড়ে মুচড়ে
সৃষ্টি করো প্রতিবাদের রক্ত গোলাপ।

স্বৈরাচারী পিছু হঠবেই।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, সেপ্টেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]