ট্রাপিজ
আজ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অজন্তা সার্কাস দেখবে মিমি।একমাস হয়ে গেল সার্কাসের তাঁবু পড়েছে। স্বামী অরুণকে বহুবার অনুরোধ ও করেছে মিমি। কিন্তু অফিস আর আড্ডায় মজে অরুণ। মিমিকে আর ছেলেকে দেবার মতো সময় তার কোনোকালেই নেই। দাপুটে শাশুড়িও মিমিকে বেশ চোখে চোখেই রাখেন।সংসারের কাজে পান থেকে চুন খসবার উপায় নেই। ভোর থেকে সংসারের জোয়াল ঘাড়ে চলে মিমির ঘানি। রাতের কাজ একটু তাড়াতাড়ি গুছিয়ে, অসন্তুষ্ট শাশুড়িকে একটু এড়িয়ে ছেলের হাত ধরে সার্কাসের তাঁবুতে ঢোকে মিমি। অবাক হয়ে দেখে বাঘের আগুন ঝাঁপ, হাতিদের বল লোফালুফি, জোকারদের মজা।
রঙচঙা মেয়েদের কাপডিশ ছোঁড়া, সাইকেল চালানো আরো কত কি। মুগ্ধ মিমি, ছেলের সমবয়সী হয়ে ওঠে নিমেষে। হাততালিতে ফাটিয়ে দেয় মা ছেলে। এবার ট্রাপিজের খেলা – মেয়েরা কী দক্ষতায় হাঁটছে দড়ির ওপর দিয়ে। মোজা পরা পায়ে অনায়াসে পেরোচ্ছে দড়ি। অজান্তেই নিজের পায়ে হাত চলে যায় মিমির- মোজাটা কোথায়? সে তো রোজই ট্রাপিজের খেলা খেলে। সংসারের দড়ির ওপর হাঁটে অনায়াস দক্ষতায়!!!
সপাটে বলা সত্যি কথা। ভাল লাগল খুউব।
ধন্যবাদ
হৃদয়স্পর্শী।
আমরা সকলেই অল্পবিস্তর ভারসাম্য রক্ষার ভার বয়ে চলি। সেটা মনের আনন্দে করতে হবে মনের জোরে।
ধন্যবাদ জানাই
সহজ সত্য ।
ধন্যবাদ জানাই
ট্রাপিজের খেলা প্রায় সবাইকেই খেলতে হয়! মোজা টা যেন থাকে, ঠিকমত থাকে! দারুন!
ধন্যবাদ জানাই
মন ছুঁয়ে যায়
ধন্যবাদ জানাই
খুব সুন্দর লেখা
ধন্যবাদ জানাই
অতি বাস্তব ৷ প্রতি মুহূর্তে দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা ৷ এভাবেও বলা যায় ! দারুন লেখনী ! ধন্যবাদ ৷
ধন্যবাদ জানাই