ইচ্ছে
অনেক ইচ্ছে নিয়ে হাঁটছিল মানুষটা। মেয়েটার এমফিল হতে এক বছর। তারপর পিএইচডি। আরও তিন বছর। কবে কী হবে! ছেলেটা সবে এমএ। কোম্পানির যা অবস্থা ছাটাই ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। একটা পয়সাও ছোঁয়ায়নি লক ডাউনের দু’মাস। জমানো টাকাটুকুও শেষ। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না ক’দিন। জ্বর জ্বর। সঙ্গে হাঁচি। কাশিও আছে সামান্য। চারদিকে করোনার আবহ। গা শিরশির করে। মাস্কটাও এমনভাবে সেঁটে আছে নাকে, দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। স্বাতী বারণ করেছিল–” আজ থাক যেয়ো না, যা হওয়ার হবে। “
” ও মশাই সিগনাল দেখছেন না? ঠিক করে হাঁটুন। ” পাশের লোকগুলো ঠিকই চেঁচিয়ে উঠল, ” এটা হাইওয়ে, দেখছেন না গাড়িগুলো কী ছুটছে! “
ঘাড় ঘোরাতেই হুড়মুড় করে লোকটাকে পিষে দিয়ে গেল ছুটন্ত পাঞ্জাব লরিটা।
অনেক ইচ্ছে নিয়ে হাঁটছিল মানুষটা…..
দারুণ লাগলো দাদা
খুব সুন্দর লেখা। আন্তরিক অভিনন্দন রইল 🌹
শেষটায় খুব কষ্ট হচ্ছে ।