ক্লাইমেট চেঞ্জের মুখোমুখি আমরা
তুমুল শীত কাটিয়ে ওঠার পরে এমন ঠায় গরমে
তোমার কথা ভাবার কারন হালকা হলেও বিচার্য
আমি এখন বিক্রি করি পশম মোড়া রঙিন স্বপ্ন
রোপন ক’রে রোদের নরম গোপন করেছি কার্য
বিক্রি করি আগামীকাল, সেলস্ শিটে গ্রাফের চাল,
ফ্রিমার্কেটে ‘বিমা’র খেতেই আরাম — অনস্বীকার্য
বিক্রি করি ঠান্ডাঘরে টব সাজিয়ে ফুল ফোটানো…
এমন সময়ে তোমায় ভাবাও নেমেসিসের ফিচার্য
দাঁড়িয়ে গেছে চাওয়ার গলা, মাড়িয়ে গেছি ছায়া, এবং
হারিয়ে গেছে ফোন নম্বর, হয়নি করা রিচার্জও
আসল কথা বুরোক্রেসি ব্যক্তিগত মাংসপেশির
সুইট ফিলিং দিনের শেষে… কাল সকালে বিটার্য
কী লাভ, যখন দিনের শেষে গর্জে ওঠা, জড়িয়ে ধরা,
প্রতিবাদ বা প্রেম — আদতে কাগুজে ইশতেহার্য?
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার অথবা মলয় রায়চৌধুরির জন্য
নতুন কথা আজকে না হয় থাকুক
রঙিন কথা, অচিন গ্রহের টান-
কালকে তোমায় তুলে আনবে ঘরে
দেশ শোনাবে দ্রোহের সামগান
তখন তুমি আমার কথা ভেবো —
এবং ভেবো সদাচারের টু-ডু
ভেবো কেমন অন্ত্যমিলের শেষে
রাখতে হতো চিলতে হাসি শুধু
ভেবো কেমন ক’রে ঘরের ভেতর
ডিসপ্লে হতো শান্ত এস্থেটিক্স
মৃদু গলায় সুতীব্র আর্তনাদ —
ঝমঝমানো ইলশেগুঁড়ি ফেটিশ
কারন যারা চেঁচায় তারা পাগল
বখাটে দেয় খিস্তি আর রাগ…
তোমার কানে থাকতে হতো গোঁজা
পার্লামেন্টারি ইয়ারপ্লাগ
চোখ বুজলে — তখন নাহয় দেখো —
অনেক দূরের রোদ-বোজা ইস্টেশান…
একলা ঠোঙার পিঠে — ইতস্তত…
উড়ে বেড়ায়… হাংগ্রি জেনারেশান…
চমৎকার
বাহ্।