বাস্তব – অবাস্তব
স্বপ্নে তে বহু গল্পেরা আসে
অবয়ব ফিরে পায়
নিজেই নিজেকে সম্রাট ভাবি
প্রজাদের বন্যায়।
ভালবাসাগুলো ছোট্টবেলার
দেবদারু পাতা চায়
কাঁঠাল পাতায় মুকুট সেলাই
অভিমান হয়ে যায়।
অনেক গল্প, এর পিছু পিছু
খিড়কির দরজায়…
পদাতিক বহু সংকেত আসে
পিচ গলা রাস্তায়।
বাবুই পাখীর শিল্পের ঘর
তছনছ লজ্জায়
একই স্বপ্নে সত্যি-মিথ্যে
আপোষের গান গায়।
এই কিগো পরাজয়…
বাঁও হেঁকে তবু দাঁড় টেনে যাই
ধীরে ধীরে ক্রমশ: মিল-অমিল তাল কাটছে
হিসাবের খাতায় প্রচুর বেহিসাবী কাহিনী …
কাওকে পূবে অপেক্ষায় রেখে , হেঁটে যাই পশ্চিমে,
প্রিয়জন কবিতা চাইলে, বৃষ্টিকে লিখে দিই।
নাতনীকে কথা দিয়েও, একটা লজ্জাবতী লতা
যোগাড় করতে , বহু সপ্তাহ, বহু মাস।
কাঁদবো না ভেবেও হঠাৎ অঝোরে কাঁদি,
একলা ঘরে নীরবতা পালন করতে গিয়ে
চিৎকার করে উঠি,
প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে বারংবার
বানান ভুল করি ।
তুমি- আমি চেয়েছিলাম
বাবার অনন্ত যাত্রার তারিখটিতে প্রতি মাসে
তর্পণ হবে, ছবিতে মালা…
তুমিই চলে গেলে ভাঙা কলসী ফেলে,
কত সপ্তদশ অভুক্ত সন্ধ্যা চলে যায়
সব ছবিতে এলোমেলো শূন্যতা
শুধুই সূর্যাস্ত…
বৈশাখী লগ্নে সেই যে হাত বাড়িয়েছিলে,
অনেক প্রাতঃভ্রমণ, সূর্যোদয়…
আচমকা ঝড়ে সমাপতনে রাত্রি নামলো
শরতের শেষ কাশফুলে।
প্রবন দার দুটি কবিতাই মন ছুঁয়ে গেল!
কাঁদবো না ভেবেও অঝোরে কাঁদি, লাইন টা সত্যি ভাবতে ভাবতে কান্না এনে দিল!