ইতিহাস
এসো আজ এই তোরঙ্গ ভাঙা হবে
এজমালি বাড়ির চওড়া বারান্দার
প্রাচীনতম এই বাসিন্দার আজ
একটা হেস্তনেস্ত করে নেওয়া হবে
এসো বড় তরফ
মেজো সেজো ফুল
ন ভালো ছোট এসো
এত অন্ধকার মেখে
এত মশামাছি মাকড়শা মেখে
তবু কী দেমাক দ্যাখো
দাঁড়িয়েছে নিষ্পলক
চোখে চোখ রেখে
লাও হাতুড়ি, পাত্থর লাও
দোনলা নামিয়ে আনো দেখি
মারো, আরও জোরে আরও
যতক্ষণ কবুল না করে
যতক্ষণ কলিজা থেকে
না উগলে দেয় পাপ
এই নিঝুম গোপন ভাণ্ড
ঠং শব্দে কেঁপে ওঠে ছায়া
ঠং শব্দে জেগে ওঠে থাম
মৃতদেহের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে হাহাকারের আলো
আরাশোলাদের যৌথ পরিবার
তখন উঠোনজোড়া বাতিল মধ্যযাম।
দুয়ারটুকু
‘নিমিত্ত’ লেখা দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে
মনে পড়ল তার কথা
স্থির হয়ে যাওয়া ঘোলাটে মনি
গড়িয়ে আসা অসমাপ্ত লালার কথা
মনির ভেতর তখনও থেকে যাওয়া
নাবালক রোগা ছায়াছবি
লালার ভেতর ডুবে যাওয়া
সমস্ত লোভাতুর মরাদের কথা
কেন আমি জিভ কেটে ফেলেছিলাম
কেন আমি তেজাব ঢেলেছিলাম চোখে
কেন আমি পঙ্গু জন্মান্ধ কীটের কামনায়
ছুঁতে চেয়েছিলাম দগ্ধপ্রায় প্রকান্ড কপাট
বিরাট ঘুমের পর যেইভাবে তাকায় শিশুরা
যেভাবে প্রবল শোষণ কাম নিয়ে খোঁজে
ব্রম্মান্ডচাকের মতো তুমুল মাইভান্ডকে
সেইভাবে দরজার আনাচে কানাচে
মণিহারা চোখ হাতড়ে ফিরছে তাকে
দরজার ওপারে যে কালো সরোবর
তাকে তো আকাশ বলতে ভয় হয়
তাকে তো জল বলে চিনতে পারি না
তাকে তো মাটিতেও নামানো যাবে না
সরোবর কত না গহীন কত না মরিয়া ঝুপ
অথচ দরজার কাছে থেমে আছে ঘড়ি
তার মুখ এখনও ঠিক ততখানি চুপ
দারুন।
বড় ভালো লাগলো।