এই ঘরবাড়ী মাটির শিকড়
রঙিন হয়ে উঠবে
তোমার ছোঁয়ায়

নদী গাইবে শস্যগান
এই সকালে মেঘ হয়ে উঠবে তুমি

ছায়া দেবে, গান দেবে
জল দেবে

ধ্যানস্থ থাকবে তুমি
আমার মাঠঘাট আবহের ভেতর

সংগ্রহ করতে ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন

এই নিত্য যাতায়াতে কত কিছুই দেখা যায়

দেখা হয় জলের সাথে, নদীর সাথে

সময়ের সাথে

পথের বাঁকে বাঁকে লেগে থাকে নুনভাত জীবনের স্বাদ

এই কলতানহীন ঘাস – মাটি – শিকড়ের
মন থেকে শব্দ নিলাম
তোমার জন্য

সুদীর্ঘ ঘুমের বাড়ী থেকে নিলাম
আমপরাগের পেণ্ডুলাম
তোমার জন্য

পাখি ওড়ে, গান গায়
ভালোবাসার মাঝরাত জুড়ে
হাই তোলে রোদের পাঁচিল

এখন এই ভরা ভাদরের মাঠে হাঁটি আর হাঁটি
আবহমান কালের সাথে হাঁটি
বেদনার সাথে হাঁটি

একটা অশ্রুবিন্দুর সাথে দেখা হবার কথা ছিল

পুকুরপাড়ের রাজহাঁসের সাথে
দেখা হবার কথা ছিল

স্লেটে আঁকিবুকি লেখার কথা ছিল
নিস্তরঙ্গ আবাদি জীবন জুড়ে
হাসিখুশি তিলোত্তমা
কুয়াশার সাথে মিত্রতার কথা ছিল

শুরুর অক্ষর আজও মেলেনি তাই প্রতিটি বর্ষার শেষে হাতের তালুতে গুঁজে রাখি লজ্জাবতী কলমের আঁচড়

কেউ জানে না কেন সেদিন রাস্তার বাঁকে কেঁদেছিলে

লক্ষ মেঘ ভিজিয়ে দিয়ে পথে নামিয়েছিলে শীতরাত্রি

মুখে আজও লেগে আছে গত বর্ষার প্লাবন !

এই নিত্য যাতায়াতে কত কিছুই দেখা যায়

দেখা হয় জলের সাথে, নদীর সাথে

সময়ের সাথে

পথের বাঁকে বাঁকে লেগে থাকে নুনভাত জীবনের স্বাদ

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]