হিসেব মিলুক
এবার থামতে চাই, চাই বিশ্রাম
আলোগুলো জেগে নেই, অন্ধকারের হাত ধরে বনবাসে।
শব্দগুলো মাথা কোটে
মরচে ধরা সময়ের দেওয়ালে। কার্তুজহীন গাদা বন্দুকের প্রতিশ্রুতির সারিবদ্ধ সরণীতে ধুয়ে গেছে সব
রক্তের দাগ আর অশ্রু।
ক্লান্তিহীন শ্রান্ত রাতপাহারা সীমান্তে চৌকিদারী
উড়োজাহাজের সার্চলাইট দিশাহীন আলোক ক্ষেপণ,
রোজ রোজ ভাবনায় আসা কথাগুলো দলা পাকিয়ে প্লাস্টিকে অক্ষয় বন্দী
তবু থামাতে হবে চুপ করাতে হবে জ্বালাতে হবে আলো।
আকাশ নীল তারারা রাত জাগুক ভিনদেশীর প্রেমে লাজুক দিন
হিসেব মিলুক দেশ আর মুলুকে।।
কবিতা যেমন
কবিতা অনেকটা নিভে আসা বিকেলের মত এসে দাঁড়ায় জ্যোৎস্নার মত যার কামনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে আর
মগ্ন মৈনাক মেলে ধরতে থাকে তার তীব্র পুরুষত্বকে।
কবিতা সেই কটাক্ষ যে
কপাল, গাল, কানের লতি, স্তনসন্ধি আর নাভিমূল ছুঁয়ে আরো গভীরে যেতে চায়।
এক নিঃশব্দ আলাপচারিতা যা সশব্দে আছড়ে পড়ে মনে।
এক মন খারাপিয়া সময়,
একলা বারান্দা, মেঘলা আকাশ, বারুদের গন্ধ প্রেমসিঞ্চন সময়, রবি ঠাকুরের কলম, বৃষ্টিধোয়া রামধনু আর হাসনুহানা হয়ে কবিতা বদলে যেতে থাকে। কবিতার হাত ধরে স্কুল ডিঙিয়ে কলেজ পাশ করে গড়ের মাঠে গাছের ছায়ায় ক্লান্ত দুপুর সেঁকা। কবিতার ছই ঘেরা নৌকো
সন্ধ্যের আলো জ্বালিয়ে
দীপ হয়ে ভেসে পড়ে কারুর মানত হয়ে।
কবিতার রঙ মাখা ঠোঁটে শ্রান্ত শরীর বিকিকিনির শেষে রক্তাক্ত হতে চায়।
তাই কবিতা আজানের সংকীর্তনে বারবার ক্রুশবিদ্ধ হয়েও জীবন্ত এক জলছবি।।।
খুব ভালো কবিতা ।