বসন্তের সমারোহের মাঝে লুকিয়ে আছে এক বিন্দুজল
ফুলের ভীড়ে ভ্রমর গুঞ্জনে
যায়না দেখা সেই ছলছল।

মাথায় সাজে পলাশ কৃষ্ণচূড়া
কোমরবন্ধে হলুদ গুলমোহর
জুঁই মালতীর সুগন্ধ ছাপিয়ে
স্পষ্ট জাগে অমলতাসের ভোর।

লাল হলুদের সমারোহের মাঝে
জারুল ফুলের বেগুনি রং ফিকে
কনকচূড়ার স্পর্ধিত যৌবন
আমন্ত্রণ পাঠায় দিকে দিকে।

পরম পাওয়ার চরম সীমা জুড়ে
রঙের নেশায় মাতাল ফাগুন মাসে
জোৎস্না তরল সাদা রঙের সাজে
কাঞ্চন আর হিমঝুরিও আসে।

যৌবনের দীপ্ত রঙের রূপে
আনন্দ আর অহংকারের ছল
রংহারা এই দুয়েকটি ফুল জানে
রোদন ভরা দিনের অন্তঃস্থল ।

আনন্দ-পাপড়ির বুকের মাঝে
অনিন্দ্যরূপ একটি বিন্দু জল।

সৌজন্য: কুর্চি, ঋণ পিনাকী

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবেনা
সে কবিতা ঝরে পড়া পাপড়ি হয়ে
বাগানের মাটি ছুঁয়ে থাক।

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবেনা
সে কবিতা উড়ন্ত ডানা থেকে ঝরে পরা
সোনালী পাখির পালক।

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবে
তার প্রাপ্তি কবিতার চির স্পর্শ মণি
তবু তার নিষ্পাপ হাতে ধরা থাকে
কবিতার ভূর্জপত্রখানি।

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবে না
তার পায়ে চলা পথ কিছুদূর গিয়ে
অরণ্যে হয়েছে দিশাহারা।

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবেনা
তার যাত্রাপথ শেষে-অপেক্ষায়
রয়েছে সাহারা।

যে কবিতা তোমাকে ছোঁবে
তার অন্তহীন অপেক্ষায়
রৌদ্রতেজ –চন্দ্রতাপ সয়ে সয়ে
সমস্ত জীবন কেটে যায়।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, মে ২৪, সূচিপত্র]