মেখলা সেন

বিশেষ দিনে

দু’চোখ জ্বেলে আলোয় হাঁটি
পেরোইনা তাই অনুকৃতি,
লালচে দাগে বেশ তো শিখি
অনিচ্ছাতেই বানান-রীতি।

পাতায় যত চিহ্ন লেখা
শীতঘুম ভেঙে কথায় রাখি।
কলম কষে নীরব ছবি
আপোষ জেনেই যত্নে আঁকি!

এবার তবে স্মৃতির জলে
উৎসবনামা সাজাই এসো-
মন্দবাসা প্রকাশ পেলে
প্রায়শ্চিত্তে ভালই বেসো!

সময় মতো আস্ত পোড়ে
অক্ষরদের বদান্যতা,
উদযাপনে আড়াল খোঁজে
বিশেষ দিনের কৃতজ্ঞতা!

পাখির ডানায় ঝোরো সংলাপ
দিনভোর চিঠি থামছে কার?
মৃতদেহ বাঁচে আগুনের আচে,
শেষতম পথ নিখোঁজ যার।

বর্ণহীন রঙ

সম্বল যত অপারগ হাতে
ভ্রান্তি প্রলেপ জুড়ছে রোজ,
শীততাপ মাপে মর্জিতে যারা
উষ্ণ প্রমায় তাদের খোঁজ।

শূন্যের চোখে শূন্য আঁকার
আঙুল অক্ষে রঙ কোথায়।
দুপুর-রোদেও বৃষ্টি লিখন
মেঘের গোপন সমঝোতায়।

তুমি ও তো জানো, বসন্ত মানে
স্পর্শের ঋণে অপেক্ষায়…
অন্ধের কাছে গচ্ছিত থাক
চুরমার যত ঋতুর দায়।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, ডিসেম্বর ২৩, সূচিপত্র]