অন্ধকার ঘনিয়ে আসা মানেই শুধু অন্ধকার নয়
ছায়া, কিছু শেকড়, কিছু হাড়, অস্তিত্ব, আলো হাত তুলে দাঁড়ায়
পুঞ্জীভূত কালো ক্ষোভ ডানা হয়, দু’হাত আকাশের দিকে ওড়ে

আঙুলে তারার স্পট, বিবর্ণ ইমেজ, ভাত ও গ্রহের উত্তাপ, লাফায়।
জোনাকিরা বিড়ালের মতো আঁচড় কাটে গর্ভে, চৈ-চৈ, সা-আ-আ ধ্বনি
ফাটিয়ে চূর্ণ করে মাথা, স্নায়ুবিস্ফোরণ, কুন্ডলী পাকায় শূন্য মহাশূন্যে
কোটি কোটি জীবন মেথিপাতার নীচে শোয়, পূর্ণ হয়, শুদ্ধ
অথবা জল

শোকের প্রপাত ঝনঝন করে যেন চকমকে তরবারি ঝোলে স্কন্ধে
তবু চাঁদের অস্থি লিখি, পাহাড় খুলে রাখে স্তন, ধবল-অমৃত।

অন্ধকার ঘনিয়ে আসা মানেই শুধু কি অন্ধকার?
অন্ধকারের একটা হাত আছে

ছবি- আন্তর্জাল

চাঁদের মাংস খেয়েছে হেমন্তের রাত!
তাকে তো বলিনি খেতে, তাকে তো বলিনি হৃৎপিণ্ড তুলে নাও হাতে!

কোন অধিকারে এই অসম অভিবাদন? খুনের পর খুন, চোখের পর চোখ
হেঁচকা টেনে গিলে নেয় রাতের আয়ুরেখা, ভক্ষণ, শ্মশানপুরি, কাঠ।
চাঁদের স্তনকুচি ভূর্জপত্রে লিখি। হাইকুর মতো ছোট ছোট কেন্নোচোখ
যেন চন্দ্রভূমির গহ্বর!
এসব
বাঁচাতে
বাঁচাতে
হেমন্ত হয়েছে রাক্ষস। সারারাত আমার প্রেমকে খুন ক’রে ফ্যালে

[পরম্পরা ওয়েবজিন, এপ্রিল ২৪, সূচিপত্র]