ছদ্মনাম
অপেক্ষার শেষে এক ছদ্মনাম, পরিচয় পর্ব –
জায়গাগুলো ভরাট হয়ে আবাসনের মতই তুমি আশপাশের
পুকুরগুলো মনে করতেই পারলে না।
জেলি কোম্পানির বিশাল দরজার ভিতরে অনুমানের আপেল
কমলার রঙগুলো দেশান্তরে –
তবুও অসময়ে আসা অথবা
মোবাইল বন্ধ রেখে জয়নগরের কথা একবাক্সে ভরে
পদবী বদলে দিলে
গ্লাস ছলকে জল
বদান্যতা পথ ভুলে শুধু ?
অন্ধরাও বোঝে অন্ধকার রাতের নিরিখে –
বাউল বাতাস যদি ব্রজবাসী
লালনের মত এক দোতারার কথা
ছদ্মনামে
লিখে দিলে অনায়াসে —
ঘোর সংসারী !
সর্বজয়া
উনি রং মাখছেন
মাখাচ্ছেন না
এই শহর তাকে আপ্যায়ণ করছে
রং চতুর্দশীর রাতের আকাশ চাচোরের আগুন মাখছে
কে যেন বলছে ফিনিক্স ফিনিক্স
সারা শহর ব্ল্যাক আউট করে
আগুন দেখছে ওরা
অন্ধকার থেকে সকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
রিমোটটা ধ্বংসাবশেষের ওপর রেখে
অপেক্ষা করছি কানু’র জন্য
একটা ওটিপি অ্যাকাউন্ট থেকে…
নিঃস্ব …
উনি এগিয়ে আসছেন পিচকিরি হাতে
সর্বাঙ্গ আঁচলে জড়িয়ে অবনত
‘ত্রুটি মার্জনা করবেন ‘
উনি হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছেন আর
আমার পুরোটাই ভিজিয়ে দিচ্ছেন
রক্তের গুলালে
হিন্দু রক্ত
মুসলমানের রক্ত
খ্রীষ্টানের রক্ত
বৌদ্ধ
জৈন
শুদ্র
তফঃসিল
মেখে নিচ্ছি সারা শরীরে
ভিজে যাচ্ছে শোভিত সম্মানসূচক উগ্রতা
জানু
আজানুলম্বিত প্রোটোকল
তারপর
তারপর কি হল জানতে নেই
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে সর্বজয়া
ঘোর সংসারীর মনব্যাথা অনুভব করলাম!
সর্বজয়া, দুর্দান্ত কবিতা!
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।