যুদ্ধক্ষেত্রের ডায়েরি
এক
লাশঘরে জড়ো করো সারি সারি শৈশব
আগ্নেয় স্রোতে জাগে মৃত্যুর কলরব…!
দুই
এক পা দূরে হঠাৎ আগুন; লণ্ডভণ্ড ঘর
ঐ শিশুচোখ অপাপবিদ্ধ – হতবাক ঈশ্বর!
তিন
গুঁড়িয়ে দিয়েছো ঘরবাড়ি সব তাসের ঘরের মতো
তোমার দম্ভ একদিন হবে আগুনেই অবনত!
চার
রাতের তীব্র অসহায়তায় কোল পাতে মিশাইল
তোমার ধর্ম সম্মতি দিলো, এতটাই ক্ষমাহীন?
পাঁচ
একদিন তবু যুদ্ধ থামবে , মুছে যাবে ভেদাভেদ
ইহুদি পড়বে জেন্দাবেস্তা, খৃষ্টান ঋকবেদ!
পথিক বিষয়ক
এক
দ্বারবাতি নিবে গেছে শহরে শহরে
আলো মুছে নেমেছে আঁধার
বোবা পথিকের দল তবু ঘর খুঁজে ফেরে
চাবিগোছা ঝোড়োরাতে হারিয়েছে কার?
দুই
মহামারী কেড়ে নেবে নীড়?
খাঁ খাঁ রাজপথ জুড়ে পরিযায়ী ভিড়
অনাদি
আশার
বুকে
সময়ের
ক্ষত…
মাতৃভূমি কোন রসে হবে সঞ্জাত?
তিন
চৌকাঠে থমকে যেওনা,
মুছে যেও গোধূলির পিছুটান
সাগর ফুঁসছে দেখো রোজ
তবু
বালিয়াড়ি
ছুঁয়ে
জাগে
পথিকের স্তবগান!
টুকরো টুকরো করে সময়কে ধরে রেখেছে পংক্তিগুলি । সব নৈরাশ্যের শেষে একটা আশা আছে যেন । আলো আছে।
টুকরো টুকরো করে সময়কে ধরে রেখেছে পংক্তিগুলি । সব নৈরাশ্যের শেষে একটা আশা আছে যেন । আলো আছে।
বরুণের কবিতার আয়নায় ধ্বস্ত সমকাল প্রতিসারিত হয়ে আলোর ভুবনে পারি দিয়েছে।
বরুণ এর কবিতায় উঠে আসে সমকাল, তার সংঘাত আর ব্যর্থ প্রেম। নৈরাশ্য এ কবিতাগুলিকে সাজিয়েছে আটপৌরে কাপড়ে। ভাল লাগে কবিতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন আশার আলো আর তার হাতছানি …
সুন্দর । ভালো লাগলো ।