
কনককন্যা
রূপমঞ্জরী নক্ষত্রদের লাট খাওয়াচ্ছিলাম
তখন চাঁদবিলাসী সবুজ ঘাসফুল কিশোরী
শিশির মেখে প্রোষিতভতৃকা
আর সূর্যমূখী মানুষেরা স্নানঘরে ঊষা মাখছিলো
একটা একটা করে নক্ষত্রদের আয়ু চুরিকরে
কাল গহ্বরে ছুঁড়ে দিচ্ছিলাম
রমণীরা কাম গিলতে গিলতে গর্ভবতী হয়ে
আশ্চর্য, তবুও খুজেঁ ফিরছিল সৌন্দর্যরাশি
প্রজাপতি তখনো আসে নি ঘাসফুলের কুটিরে
আমার শরীরে কারা যেন খুঁজে বেড়াচ্ছিল
নক্ষত্রদের,
নক্ষত্ররা আমার শরীর জুড়ে
লুকোচুরি খেলছিলো।
একটা একটা করে নক্ষত্রদের পূর্ণিমায় স্নান করিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছিলাম।
সমস্ত শরীর জুড়ে আলোকচাঁপা ফুটে উঠছিলো
একটা কনকফুলের প্রেমের জন্য।
কনককন্যা ২
যখনই কনককন্যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি
সমুদ্রে জোয়ার ভাটার সঙ্গে একটা গর্জনের শব্দ, উল্লাসের
যেন কেউ তানপুরার ছড় টানছে সূর্যের গর্ভযন্ত্রনা থেকে
কেউ কিচ্ছু জানেনা তবুও সাজিয়ে চলেছে যুদ্ধের খেলনা
এভাবেই বাসরঘরের পিছনে পড়ে থাকে রক্তাক্ত ইতিহাস
কিংবা ছাদনাতলার পিছনে গোপন উপন্যাস
সে কোন বৃক্ষ সমিধ হয়েছে নৈবেদ্য হবে বলে?
অগ্নিও হবিষ্যান্ন ক্ষুধায় মিসাইল জন্ম দেয়
হে কনককন্যা কেবল তুমিই গভীরে লুকিয়ে আছ পাসওয়ার্ড হয়ে
তোমার সৌরভে চটুলতায় আমি আজন্মকাল প্রদক্ষিণরত
আজও নতজানু খুঁজি ফিরি,
প্রেমের কুটির, এই মহাযুদ্ধক্ষেত্রে।
[পরম্পরা ওয়েবজিন, জানুয়ারি ২৪, সূচিপত্র]

অতি উচ্চমানের দুটি কবিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ!