শীত
আজ খুব শীত –
খুব ঠাণ্ডা লেগেছে,জল পড়ছে নাক থেকে, মাথা ব্যাথা, মাথা তুলতে পারছি না,হাত পা অবস।
রাতে শোবার সময় প্যায়রাজেসিক ছশ পঞ্চাশ নিয়েছি – সাময়িক উপকার হলেও ফিরে এসেছে উপসর্গগুলো –
বিছানায় আছি, বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছেনা – এখনও রোদের দেখা নেই কুয়াশার ঘোমটায় ঢেকে আছে মুখ – আটটা নটা বাজে।
অল্প একটু জানালা খুলে মুখ বাড়ালাম ঝাপটা বাতাস ঝাপটে দিল কুয়াশায় মুখ
গাছেরা আঢ়মোড়া ভাঙেনি পাখিদের কলস্বর লুপ্ত বিষন্নতার চাদরে মুড়ে আছে আদিগন্ত।
মনে পড়ছে তোমার কথা, তোমার উত্তাপ…
যাবার সময় বলে গেলে ফিরব,বলে গেলে ভালো থেক – বিশ্বাস করেছিলাম!
তুমি তো জানতে শীতের মানুষ আমি নই তবুও তোমার জন্য দু তিনটে শীত সহ্য করেছি।
খুব শীত করছে মনে হয় জ্বর আসছে,প্রচন্ড কাশি কাশতে কাশতে মাগো বলে ডাকছি সেও আর সারা দেয় না, তুমি ও মিথ্যে বলে চলে গেলে ।
খুব কাঁপুনি… !
শীতের পরে বসন্ত
ফিরে এলাম তোমার বাড়ির দুয়ার থেকে
ফিরে এলাম- মনে পড়ে গেল বাড়িতো তোমার নয় এখন বাড়ি ওদের ফিরে এলাম ওদের বাড়ির দোর গোড়া থেকে।
অনু – তোমার নাম ধরে তোমাকে খুব ডাকতে ইচ্ছে করছিল
জান – সব সবদিন এক রকম থাকে না
ওদের আর তোমার শব্দ দুটোর তফাত – এখন আমি বুঝি
শিউলি আর কূন্দের দূরত্ব যেমন
আকাশে দুটো উড়ো জাহাজের দূরত্ব যেমন
জানি এখন ডাকলে – তুমি আর সারা দেবে না – অন্য কেউ দুয়ার আগলে দাঁড়াবে – আমি শালিক মানুষ দেখেই কতৃত্বের ভঙ্গিতে সে বলবে – কী চাই – যেন দরজায় ভিখারী – অথবা বলবে এখন কিছু হবে না – যদি বলতে চাই আমি অনুর …
দেখা হবে না – বলবে যত্ত সব …
অনু আমি তো ভিখারীর মতো হাত পেতেই ছিলাম
আজ তোমার ওদের বাড়ির চৌকাঠ থেকেই ফিরে এলাম ডাকিনি একবারও ।
এই বাড়ি তোমার বাড়ি আগলে আছি তোমারি লাগানো পলাশ বৃক্ষ – রেখেছি সাধ্য মতো পরিচর্যায়…
আজকাল কোকিলের আনাগোনাও বেড়েছে …!
বাহ্
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।