বিষাদ ও অহংকার
বন্ধুদের সাথে তর্ক (কলহ নয়)উঠলে
ঘুম পায় ইদানিং
স্বভাব ও স্মৃতির মাঝখানে উঁচু হয় বরফ দ্বীপ
পাথরে ভাসিয়ে দাও করোটি তোমার
নিয়ান্ডার্থাল করোটি ভেসে চলে নক্ষত্রের স্রোতে
ঘরে ফিরে বই খোলো টান দাও সিগারে
মশারিতে ফুলকি উড়ে পড়ে
তারাদের আয়ুপথ এভাবেই
শেষ হলো ভেবে কেঁদে ফেলো
পুরনো তোমার জন্য মায়া হয়?
আহা বড় বেশি সরল ছিল মগজের গলিঘুঁজি
বুদ্ধিসুদ্ধি কম তাই টিকতে পারেনি
বাচাল পৃথিবীতে জাঁক করে ধরতে পারেনি
মোহময় সেলফি সমাহার
ভোট দেয়নি বোতাম টিপে
এতদিন পর উইলাগা বই রোদে মেলতেই
বেরিয়ে পড়েছে সেই খুলি
মরা তাও আলো দিচ্ছে বলে
তরুণ কবিরা নক্ষত্র ভাবে ইদানিং
জবা কুসুমের স্রোতে তুমি তাকে ভাসালে আবার
দৃষ্টি ও ভাষায় আজ যাহা খিন্ন অন্ধকার
নিরুপায় ভেসে যাচ্ছে প্রত্নকাল ধরে
জংধরা বিষণ্ণ করোটি তোমার…
মিনিয়েচার পেইন্টিং
পাথরের কর্মশালায় কাজ চলছে
ঘোড়ার নাল ও সাইপ্রেস আঁকছেন শিল্পীরা
আলোয় বিধ্বস্ত চবুতরায় দাঁড়ালেন বিষন্ন নবাব
বংশানুক্রমে সব সম্রাটেরই এক মুখ
যুদ্ধ ও শিরোস্ত্রাণে গড়ানো রক্তের ক্লান্তিতে
ঘুম এসে যায় বলে মৃদু এক মোম জ্বলে সময়ের
পবিত্র কুয়াশায় চিত্রকররা ধুয়ে নেন প্রায়ান্ধ চোখ
প্রধান শিল্পী বেছে নেন পাগড়ি বাঁধার তীক্ষ্ণ শলাকা
বিশ্বাস করেন অন্ধত্বের জন্য দায়ী কেবল আলোই
সময়কে দেখতে শুধু প্রয়োজন স্বভাব ও স্মৃতি
গুপ্ত হত্যায় ঢাকা এই তসবির জানে
চোখের ক্ষতর মতো খুব ধীরে মুছে যায় নাম
ঝনঝন শব্দের আসরফি নীল হয়ে আসে
জেবভর্তি স্বর্ণমুদ্রার অদৃশ্য ফুল
শ্লথ হয়ে খসে যায় জ্বলন্ত পরিখায়
গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন নবাব
জাফরি কাটা সময়ের অলিন্দে
ফুটে ওঠে মিনিয়েচার পেইন্টিং
[পরম্পরা ওয়েবজিন, জানুয়ারি ২৫, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]