চৈতন্য
মেঘের মতো ভেসে যাচ্ছে সময়
নদীর জলে তোমার মুখচ্ছবি
সন্ধ্যা নামে, নামছে অন্ধকার
আমায় এবার কাঁদতে দাও কবি
কোন্ বেদনায় উধাও আলো হাসি
গভীর খাদের কিনারে টলোমলো
কোন্ দুঃখের অশ্রু সাগরে ডুবে
একটা জাতির অপমৃত্যু হলো
বিষণ্ণতা পোড়ায় ভিতর ভিতর
পুড়ে যাচ্ছে আকাশের সব তারা
সময় সময় তীব্র শোকের দহন
মধ্যযুগে ফিরতে চাইছে কারা!
ফুলগুলো সব পদতলে দলে দলে
গাছের শিকড় উপরে ফেলতে চায়
সভ্যতাকে কালো ডানায় ঢেকে
সূর্য উধাও, আকাশ মেঘে ছায়
আর কতবার রক্ত ঝরবে বুকে
অশুভ ছায়ায় ঢাকবে আমাদের
আর কতবার শরণার্থী হব
আর কতকাল হিংসা অপরাধের
এখন আমার দুঃখ প্রদীপ জ্বালা
এবার আমায় কাঁদতে দাও কবি
দুঃখের কালো রাতের পরে যদি
চৈতন্যে আসে ভোরের রবি
কি হবে!
কি হবে দুঃখ কথা বলে
কি হবে পিছনে তাকালে
সব ব্যথা বেজে ওঠে যদি
বয়ে যাবেই দুঃখ নিরবধি
হেমন্তের হাওয়ায় অকারণ
বেদনা খুঁড়ে জাগে এই মন
কে বেদনা বাঁচাতে চায় বলো
আধপোড়া স্বপ্নেরা অগোছালো
কি হবে ভালোবাসাবাসি
সবই কান্না লুকানো হাসি
কেন নিকষ অন্ধকারে
ছুটে যাওয়া বারেবারে
কোথায় পাবে মুক্তি আলো
তবুও মুক্তি মশাল জ্বালো
[পরম্পরা ওয়েবজিন, ডিসেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]