কাকজন্ম
অজুহাত ব্রজনে দুই দিন
মাঠ ফেটে চৌচির
চকোরের পাপজন্মে
বিষাদ সিন্ধু নয়
পাললিক স্তরে
অগভীর নলকূপে
কাকজন্ম নিঃস্বতার পরিভাষা
দক্ষিণায়নে ছত্রাকের ব্যাপারি সংসার।
আমার কুন্ঠার কথা এ অবধি বলিনি কখনো
মারী’র প্রকোপে সৌভাগ্য সিঁদুরে
মুষ্ঠিভিক্ষা
মাধুকরী
কবিতা বেশাতি —
অহল্যা অসুখে তার
আসে যায় কিছু?
জীবন তরল হলে তোমার পাত্রে কিছু তারই
পাখিদের যাপনে সে যে স্বয়ং কিরাত
বনে বনে পলাশ উৎসব
কুটিরশিল্প
ভালবাসি’র থেকে ভালবাসা শিখছি
কথার রোদ্দুরে একটা ছাতা
ছায়া সম্পর্কিত একটা পথকে চেনাচ্ছে —
ঘাট শিলায় বসে একঘটি পুকুর নিয়ে ফিরে আসছি
ঠিকানা জানিনা
অথচ ঘর গুছিয়ে দিচ্ছি
চাদর বদলে দিচ্ছি অথবা ফুলদানি’র বাসি ফুল
আমাকে লালন বললে আমি কিন্তু অচিন পাখি
মনবেড়ি প্রসঙ্গে আমাদের বধ্যভূমি
জলের দামে বেচে দিয়ে
গুপ্তশত্রুকে হাজতবাস থেকে নিয়ে যাচ্ছি
অস্তাচলের কুটিরশিল্পে !
ভালবাসা শিখতে শিখতে টেরাকোটা রূপ নিচ্ছে বত্রিশ রাগিণী !