চাপ আর চাপ
-আর পারা যাচ্ছেনা মণি!
তিতলির কন্ঠস্বরে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।
বাইরে থাকলে রাত ন’টা নাগাদ সে ফোন করেই একটা, ভোলে না।
শরীর গতিকের কথাবার্তার পর জিগ্যেস করি,
তা, এতো চাপ কিসের তোর? পরীক্ষা?
ব্যস্, কলের মুখ খুলে যায়! মোদ্দা কথাটা যা বুঝলাম, হস্টেল, ডিপার্টমেন্ট সব জায়গাতেই তিতলির ঘাড়ে বোঝা, বাকিরা নাকি কেউ কিছুই পারেনা।
— আর তুমি সেই যুক্তিতেই গলে যাও, মানে তোমার সম্মতি আল্গা হলেও থাকে! তাহলে তো রাগের কারণ নেই!
আমি মেয়েকে একটু খোঁচা দিই।
— উঃ মণি, তুমি বুঝছ না!
তিতলি হতাশ এবার। তাকে ভোলাতে হবে নিশ্চয়ই, অতএব–
তাহলে তুমিই বলো, একজন মানুষকে আমরা কখন গুরুত্ব দিই? “না” বলতে পারলে!
তাই সবতাতেই ঘাড় নাড়তে নেই, ওটা এগ্রি কালচার, সবতেই হ্যাঁ হলেই গেল, টেকন্ ফর গ্রান্টেড! তোর সেটাই হচ্ছে!
মেয়ে চুপচাপ, তাই আরেকটু বলি—
সবাইকে হ্যাঁ বললে কাউকে না কাউকে তো অটোমেটিকালি না করে ফেলছিস, সব কাজ জড়িয়ে ফেলছিস, তাই না?
— দায়িত্ব নেওয়ার সময় তো মনে হয়, ও ঠিক হয়ে যাবে! অনেক দেরী আছে!
কাঁচুমাচু তিতলি এখন।
— ইয়েস ম্যাডাম, একে বলে ডিসটান্ট এলিফ্যান্টিং, হাতি দুরে থাকলে ছোটই দেখায়!
যত কাছে আসে ততই ওর মাপটা বোঝা যায়!
–তাহলে?
—তাহলে আবার কি? অপ্রয়োজনীয় কাজ, যেগুলো সহজেই অন্যে করতে পারে, সেগুলো শুরু থেকেই ওদের দাও, মিষ্টি করে বলো!
দেখবে, কেউ চটছে না!
—থ্যাংক ইউ মণি ! বাঁচালে আমায়!
এবার মেসে যাই, সাড়ে নটা বাজল!
ফোন রেখে দেয় তিতলি,আর আমি ওর মুখটাই ভাবতে থাকি।
খুব ভালো লাগলো গৌতম, অভিনন্দন।