কবিতা
কবিতা চিনেছে নির্ঘুম রাত একান্তে চেয়ে থাকা
পলক ফেলতে রূপসী কিংবা বড্ডোই একরোখা
নাছোড় কিছু বর্ণমালার অনিবার সংসার
কখনো সৃজন কখনো করবে সবকিছু ছারখার।
আমার কবিতা বাইফোকালের চঞ্চল চাওয়া পাওয়া
বিবাগীর হাসি হাসে হাহা করে সব কিছু গেলে খোয়া।
এলিয়েন হয়ে আমার কবিতা বিষ্ময় মাখে চোখে
অজানা স্পর্শে পৃথিবী মাড়ায় যা কিছু বলুক লোকে
পরোয়া করে না নিজের নিয়মে আহ্নিক গতি তার
বুক পেতে নেয় কলঙ্ক দাগ যাবতীয় দায়ভার
সেসব কবিতা অমরাবতী মুছিয়ে কালের চিন্হ
স্রোতের টানে ভেসে ভেসে যাওয়া সংজ্ঞায় অবতীর্ণ।
মলাটের ফাঁকে লুকানো পালক ডুবডুব পানকৌড়ি
মিল অমিলের দ্যোতনা মাখা সাক্ষাৎ হরগৌরী
হেমন্ত রোদ ধানের শীষে কবিতা সালংকারা
শিশিরের দুল দুলিয়ে যখন কুয়াশায় দিশাহারা
কবিতা তখন দৃষ্টি ঝাপসা জীবনের দূর পথ
হাত ধরে চলা প্রতি চরণেতে মাখানো নীল শপথ।
এবং তারপর
বিচ্ছিন্ন সকাল নদী পেরোয় খড়ম পায়ে
অথচ আমি সময়ের পায়ে ঘুঙুর পরাতে চেয়েছি
এখন রোদ্দুর এলেও মনখারাপ
মেঘলা আকাশেও
স্নায়ু শান্ত করার জন্য শিশিরের জলপটি কিংবা
মায়ের পলকসুধা ঘনিয়ে আসুক
অপেক্ষার সাথে আমার মেলবন্ধন বহুকালের
তবু রং আলাদা হলে
রূপ বদলে যায় সময়ের
ভালো লাগেনা কথাটা তামাদি হয়ে গেছে জেনেও
কুলুঙ্গি থেকে বাইরে এনে
হেমন্ত রোদে সেঁকে নেওয়া,সুগন্ধি মাখানো….
এসব আটপৌরে অভ্যাস কে স্নান করিয়ে
আকাশের নিচে ধুপ আর প্রদীপ হাতে
দাঁড় করিয়ে দেখি
কারা যেন তারার প্রদীপ জ্বেলেছে
তাদের আঁচলের খুঁটে সযত্নে তুলে নিলে
কোলাহল স্তিমিত হয়ে আসে
ঢেউ শান্ত হয়…
দুটি কবিতাই একদম নন্দিতা স্ট্যান্ডার্ড!
খুব ভালো লাগলো!