রক্ততিল
পাহাড়ে উঠতে উঠতে
পাথরে খোদাই করা সব লিপি ও যুগল চিত্র
দেখেই আমি খুঁজতে থাকি
তার নির্মিতকাল ও কোনো এক যোগসূত্র।
ব্রেইলের মত আঙুল ছুঁয়ে স্পর্ধা দেখাই।
কবেকার প্রিয় গান ভেসে আসে
অবিকল তারই সমর্থনে
একটি তীব্র লাল রঙের জবা
ফুটে ওঠে ঠাণ্ডা অভিলাষে।
অনন্ত অন্তরে অদৃশ্য একটি খেলা
শুরু হয়ে যায় তখনই
যার তির্যক সোনালী আলোয় ভেসে থাকে
আমার করতল ও একটি মাত্র রক্ততিল ।
আর এক বনলতা
রামধনুর মতো সম্ভাবনাময় কোনো দিগন্তের কোলে
ঘুম ভাঙা ছোঁয়ায় তিরতিরে বুকে
কোনো রক্তিম বোধ যদি জেগে ওঠে
তবে এসো, হাতে হাত রাখি
মেঘেদের অস্ত যাওয়া দেখি।
আমি এক অলস নারী
অ্যাকেসিয়ায় যার কোনো আকর্ষণ নেই
কিন্তু দখিনা বাতাস চুম্বন দেয় অহরহ
রোজ রোজ জ্যোৎস্না এসে দাঁড়ায় উঠোনে
এক অনিঃশেষ বাসনায়
যখন পৃথিবীর নাভিকুণ্ড স্পর্শ করতে চায়
মন্ত্রদীপ্ত এই সীমন্তিনী।
অনেক সুখের খোঁজে উড়ে যাওয়া পরিযায়ী দল
যেতে যেতে চেয়ে দেখে আমার উদাসী বসবাস।
আমি শুয়ে থাকি দিগন্তে হাওয়ার দোলায়
বিকেলের শঙ্খচিল, গোধূলির শেষ আলো বুকে নিয়ে
আর ভাবি
আমি আর এক বনলতা সেন
যাকে কখনো জীবনানন্দ খোঁজেনি ।
দুটি কবিতাই ভালো, দ্বিতীয় টি আরো ভালো লাগলো।