
রাতের পরে রাত ফুরোলে
রাতের পরে রাত ফুরোলে স্রোতের সংখ্যা বাড়ে
এখন তো আর আগের মতন সে আত্মাটি নেই
মেঘের পরে শান্ত মেঘ বসত গড়ে ওই
সব কিছু আজ স্ফটিক চোখে দেখতে বাধ্য হই।
দিনের পরে দিন ফুরোলো, স্বস্তি এলো কোথায়?
শ্যাওলা জ’মে আস্তরণ, কোথাও পুরু ধুলো—
নিরুদ্দেশ চাঁদের আলো, কোথায়-বা ঈশ্বর—
নূপুর নেই, ঝরনাও না, ঠোঁটে শুকোয় স্বর।
আগের মতন কুড়োতে যাই যদি ছেলেবেলা
ধাক্কা খেয়ে ফিরতে হবে, হাঁটুফাটু ভোগে—
বরং নিজেই আকাশ আঁকবো, কখনো তোমাকে
সাক্ষী রেখে জ্বালিয়ে দেব নিজেরই আত্মাকে ।

ত্রুটি
সম্পূর্ণ ঘ্যাচাং করে ছেঁটে ফেলি দশ লাইন লেখা।
লেখাটা তখন ওর বুক চেপে ধরে, ঝর ঝর রক্ত!
রক্তে ভেসে যায় দিন, দিনের কপালে আমি সেই রক্ত-টিপ
এঁকে দিয়ে পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিই। বলি:
আমার একান্ন ভাগ ভুলের মুহূর্ত মনে পড়ে
মনে পড়ে বারো মাস কিভাবে পায়ের সামনে কাঁটা হয়ে ছিল।
আমার নিজেকে বড্ড মোমবাতি বলে মনে হয়
দেখি কিছু হঠাৎ ৪৯ বায়ু কিভাবে ধাক্কার
পিঠে উঠে টাল খায়, গোত্তা খায়, ভেঙে পড়ে বিছানার পাশে।
তখনই নিজের ভুল চিনতে পারি।
আর চিনে গেছি ব’লে তাই
আমাকেও খুন করি বিন্দুমাত্র সুযোগ পেলেই ।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, জানুয়ারি ২৫, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]