গন্ডুষ ভরে শুষে নেওয়া কিছু স্রোত
বিলোড়িত ঘ্রাণ, শিলীভূত পরিণতি
খাদের কিনারে শাণিত আকাশটাতে
বিছিয়ে রেখেছে গোপন শীতলপাটি ।
ভেবেছি সেখানে নিরাপদ স্পন্দন
আছড়ে পড়বে মেধায় ও মননে,
জানিনা কখন প্রগাঢ় অন্ধকার
থমথমে মুখে দাঁড়িয়েছে এককোণে!
হাতের তালুতে তখনও জমাট পাপ
ভুল উজানের মলিনতা আর দেনা।
বিদায়ী রৌদ্রে দগ্ধ বিলীন ছবি,
অ্যালবামে রাখি সন্ধ্যার উপাসনা ।
জানলার শিকে আড়মোড়া ভাঙা সুখে
বিকেলের আলো অনন্ত ঠিকানায় ।
কড়া নাড়ে দ্বারে নিষিদ্ধ কাতরতা
সমীকরণের নতুন অপেক্ষায় ।

এখানে নেমেছে রাত্রি
কোদালে মেঘের মতো মন
জেগে আছে
যতখানি জাগা প্রয়োজন ।
রোদ থেকে খসে পড়া কিছুটা সময়
এখন সাহস করে ভুলে যেতে হয় ।
সমুদ্র মন্থনের গত উন্মুখ সন্ধান,
সুখের চন্দনচৌকি পেতে রাখো বুকে,
মায়াবী চিবুকে ।
ধুলোখেলা শেষ করে নিভৃত আলোটি
যাক পুব থেকে পশ্চিমদিকে ।

লেভেল ক্রশিং পেরনো পথে
বহুদূর নির্জন হেঁটে
সময়ের যত অপচয়,
কাঁটাতারে রক্তপাত, ক্ষয়
হননপ্রধান ঘূর্ণিঝড় ঘোর
লেগে আছে ঝুল বারান্দার বৃত্তরেখা জুড়ে।
নিঃশব্দ পদাবলি ঢাকে
হিমে ভেজা স্বরোদের চর ।

পরবাসী সন্ধ্যাকাশে
সংযত নিজস্ব আলো
মিঠে কড়া ঝলোমলো
অজস্র জোনাকির স্বপ্ন অনুরাগে
যদি জাগে,
কখনো আবার ফিরে ডাকে
চুপিসারে অলঙ্কৃত সুখে,
ভালোবেসো ।
হারিও না তাকে ।

[পরম্পরা ওয়েবজিন, ডিসেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]