ফোনের অ্যালার্মের সুরে ঘুম ভাঙতেই জানলা দিয়ে বাইরে তাকাই,নাহ!এখনও আলো ফোটেনি,আরেকটু ঘুমিয়ে নি!চমক ভাঙ্গে!মনের দরজায় কে যেন ঠকঠক করছে..
কি রে তোর না আজ সকালে কোথাও একটা যাবার আছে!
চমকে উঠি,আছে তো,আছে তো,আছে তো!

সেই কিশোরবেলা থেকে স্বপ্ন দেখি,দাঁড়িয়ে আছি এক অসীম জলস্রোতের ধারে,আমার সারা শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে উড়ে আসা জলের গুঁড়ো,ঝাপসা করে দিচ্ছে আমার চোখ…ঐ তো অনেক ওপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এক বিশাল নদী,এপারে আমেরিকা আর ওপারে কানাডা,আমি অপার বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে আছি বর্ণালী বিচ্ছুরিত রামধনুর সৌন্দর্যে…নায়াগ্রা ফলস্ আমায় ডুবিয়ে নিচ্ছে নিজের ভেতর,আমার চোখ বুজে আসছে।

আজ সেই দিন,আজ সকালের ফ্লাইটে যাবো আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের অস্টিন শহর থেকে শিকাগো হয়ে বাফেলো,সেখান থেকে নায়াগ্রা ফলস্ ঘণ্টাখানেকের ড্রাইভ।

এয়ারপোর্টে পৌঁছে সিকিউরিটি ইত্যাদির ঝামেলা মিটতে না মিটতেই আমার কন্যা বলে ওঠে ‘চলো জমিয়ে ব্রেকফাস্ট করা যাক!কি খাবে বলো?’
‘আমেরিকাই যখন তখন বার্গার খাওয়া যাক!’
‘মা তো বলছে পিৎজা খাবে!’
‘আর তুই কি খাবি?’
‘আমিও বরং পিৎজাই খাই!সবাই কফি খাবে তো?’

খেতে খেতেই ফোন করি কলকাতায় মনোমিতকে ‘এই শোন!পুজোর সময় তো গাড়ি চালিয়ে ডুয়ার্সের বাড়ি যাচ্ছি!অষ্টমী আর নবমী এই দুদিন তুই জলদাপাড়ায় একটা হোটেল বুক করে রাখ,সিসামারা নদীর ধারে হলে ভালো হয়।’

এই হচ্ছে আমার ভবঘুরে মন,ইংরিজিতে যাকে বলে Wanderlust…আমেরিকা এসেছি নায়াগ্রা দেখতে তাও শান্তি নেই,দেড়মাস বাদে কোথায় যাবো তাই মাথায় ঘুরছে।পৃথিবীর এক গোলার্ধে বসে মন চলে যাচ্ছে স্যাটেলাইটে ভেসে উল্টো গোলার্ধের জঙ্গলে,হাইওয়েতে…সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যাড্রেনালিন।

বাফেলো এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে চলেছি নায়াগ্রা ফলসের দিকে।গাড়ির কাঁচ নামাতেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া মন ভরিয়ে দেয়,জানিয়ে দেয় আমরা এখন আমেরিকার উত্তরপূর্ব দিকে,আশেপাশেই বিখ্যাত গ্রেট লেকস…লেক ইরি,অন্টারিও,সুপিরিয়র,মিশিগান আর হুরন,ওপারেই কানাডা।আমার স্বপ্নের নায়াগ্রা নদী লেক ইরির জল বয়ে নিয়ে চলেছে,মিশিয়ে দিচ্ছে লেক অন্টারিওতে।সারা পৃথিবীর মিষ্টি জলের ২০% বয়ে যাচ্ছে এই নায়াগ্রা দিয়ে,ছোট্ট নদী,মাত্র ৫৮ কিমির যাত্রাপথ,তাতেই মিশে আছে কতো ইতিহাস,কাহিনী আর অজস্র মানুষের স্মৃতি আর ভালোবাসা!

দূর থেকে চোখে পরে আকাশের একটা অংশ ঢেকে আছে মেঘে,অবাক হই,এইটুকু জায়গায় মেঘ?পরমুহূর্তেই বুঝি ওটা নায়াগ্রা ফলসের জলকণা থেকে তৈরি কুয়াশা,প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি!
মনের মধ্যে ভালোলাগা,উত্তেজনা আর অবাক হওয়ার এক মিশ্র অনুভূতি,ছোট থেকে বইয়ে পড়া নায়াগ্রা ফলস আরেকটু পরেই আমার চোখের সামনে!

আমাদের হোটেলটা অনেক পুরোনো,১৯২৮ সালের,ব্রিটিশ আভিজাত্যমাখা,নাম রেড কোচ ইন।বারান্দায় দাঁড়ালেই কানে আসছে দুরন্ত বেগে বয়ে চলা নায়াগ্রা নদীর জলের আওয়াজ,রাস্তা পার হলেই তার রূপ চোখে পরে।চেক ইন করেই ছুটে যাই নদীর ধারে, এ যেন কেশর ফুলিয়ে ছুটে চলা দামাল ঘোড়া!তীব্রবেগে বয়ে চলেছে প্রপাতের দিকে,মাঝে মাঝে পরে রয়েছে বিশাল গাছের গুঁড়ি,পাথরে বাধা পেয়ে জলে তৈরি হচ্ছে দুরন্ত ঢেউ যার পোশাকী নাম র‍্যাপিডস।

সন্ধ্যে নামছে,চোখ বুজে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি,মন ভরিয়ে দেয় জলের শব্দ,হৃদয়ে দোলা দেয় বয়ে চলা নদীর ঠান্ডা হাওয়া,আমি ভেসে চলি অনুভবের নৌকায়।

নায়াগ্রা ফলসের তিনটে অংশ…সবথেকে বড় অংশ অশ্বখুরাকৃতি,তাই নাম Horseshoe falls,এর প্রায় পুরোটাই কানাডায়,মাঝে রয়েছে গোট আইল্যান্ড,তারপরে আমেরিকার মধ্যে আছে বাকি দুই অংশ…ব্রাইডাল ভেল ফলস্ আর আমেরিকান ফলস্,এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে লুনা আইল্যান্ড।

নদীর ধার ধরে এগিয়ে চলি আমেরিকান ফলসের দিকে।সেখানে সন্ধ্যার পরেই শুরু হবে লেসার আলোর শো।প্রসপেক্ট পয়েন্টে পৌঁছে দেখি ইতিমধ্যেই অনেকে এসে গেছেন।সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ সমান মুগ্ধতায় চেয়ে আছেন অপার জলরাশির দিকে।প্রচণ্ড বেগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে নায়াগ্রা,তৈরি হয়েছে আমেরিকান ফলস্।অস্তগামী সূর্যের নরম মায়াবী আলোয় সে কি দৃশ্য!ক্যামেরা বার করতে ভুলে যাই,মনক্যামেরায় প্রতিটা মুহূর্ত জমে থাকে,উড়ে আসা জলের গুঁড়ো ভিজিয়ে দেয় অন্তরাত্মাকে।

চোখ বুজে থাকি,আমার ভগবান প্রকৃতিকে প্রণাম জানাই,ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম দিয়ে তৈরি এই বিশ্ব আমার;হিমালয় পাহাড়,থর মরুভূমি,ডুয়ার্সের জঙ্গল,বাংলার মাঠ পেরিয়ে আসা বৃষ্টি,ইউরোপের আদিগন্ত বিস্তৃত আঙুর ক্ষেত,গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের লাল পাথরে চুঁইয়ে পড়া সূর্যাস্তের আলো,শেষ না হওয়া হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া আমার ভবঘুরে মন…আমায় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে নায়াগ্রা পেরিয়ে,আলাদিনের ম্যাজিক কার্পেটে চড়ে আমি বেরিয়ে পড়ি,ভেসে যাই।

চমক ভাঙে মৌসুমীর ডাকে ‘ঐ দেখো,আলোর খেলা শুরু হয়েছে!’সত্যিই তো…..কানাডার দিক থেকে আমেরিকান ফলসের ওপর আলো ফেলা শুরু হয়েছে….লাল,নীল,সবুজ,হলুদ,বেগুনি, কতোরকমের আলো,মাঝে মাঝে সব আলো মিশে তৈরি হচ্ছে বর্ণালী,রাঙিয়ে দিচ্ছে তীব্রবেগে ঝাঁপিয়ে পড়া জলরাশিকে।দূরে দেখা যাচ্ছে আলোয় ভেসে যাওয়া Horse Shoe ফলস্।

অনেক রাত অবধি বসে থাকি,তারপরে নির্জন রাস্তায় এলোমেলো হেঁটে ফিরে চলি হোটেলের দিকে,রাতের খাওয়া সেরে তলিয়ে যাই ঘুমের দেশে,কাল অনেক কিছু দেখার আছে।

ভোর হয় নায়াগ্রা নদীর জলের আওয়াজে।আজ মেঘলা;হোটেল থেকে বেরোতেই ঠান্ডা হাওয়া মন জুড়িয়ে দেয়;নদীর ধারে এসে বসি,গুনগুন করি ‘চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারী ক্ষুদ্র দুঃখ সব তুচ্ছ মানি’….সামনে জলের খরস্রোত যুগ যুগান্ত ধরে বয়ে চলেছে,ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কতো মানুষের সুখ-দুঃখ,আনন্দ,আশা,নিরাশার উথালপাথাল করা কাহিনীকে…সামনেই জলপ্রপাত…নদী ঝাঁপিয়ে পড়বে অনেক নীচে,বয়ে যাবে শান্ত ধারায়,সেখানে ধীরগতি,স্রোত অনেক কম,ঠিক যেন আমাদের জীবনের মতো;বেশিরভাগ সময়টা উথালপাথাল….তারপর সব আস্তে আস্তে থিতিয়ে আসে,দিন বয়ে চলে নিজের মতো,ঢিমেতালে।

চমক ভাঙে ফোনের শব্দে…’কিগো ব্রেকফাস্ট করবে না?একটু পরেই তো ট্যুরের বাস আসবে!’

চানফান করে রেস্টুরেন্টে আসতেই মন খুশ!রাস্তার ধারের বারান্দায় খাবার ব্যবস্থা,বলাই বাহুল্য সাহেবী!রকমারি খাবার…জুস,কফি,হরেক স্বাদ ও আকারের পাঁউরুটি…ডিমের কতো রকম পদ!আমি আজ অর্ডার দিলাম এগ বেনেডিক্ট,সঙ্গের দুজন তো ডিম নিয়ে চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি শুরু করেছে,যা ইচ্ছে করছে!ডিমের অমলেটের মধ্যে যা ইচ্ছে স্টাফ করছে!মেয়ে অর্ডার করেছে এগ ফ্লোরেন্টিন!শেষপাতে গরম কফিতে চুমুক দিতে না দিতেই বাস এসে হাজির।

আজ বিকেল অব্দি আমরা নায়াগ্রা ফলসের বিভিন্ন অংশ দেখবো। যাবো বহুশ্রুত Maid of the mist লঞ্চে করে একেবারে নায়াগ্রা ফলসের নীচে,দেখবো নায়াগ্রা নদীর ঘূর্ণি অঞ্চল,পোশাকী নাম Niagara Whirlpools,;পরবর্তী গন্তব্য গোট আইল্যান্ড থেকে horseshoe falls দর্শন,সবশেষে bridal veil ফলসের নীচে cave of the wind.

নায়াগ্রা নদীর একপাড়ে আমেরিকা অন্যপাড়ে কানাডা,মোবাইল ফোনে কখনও আমেরিকার নেটওয়ার্ক,তো পরমুহূর্তেই কানাডার;এইরকম অভিজ্ঞতা হয় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে তিস্তা নদীর ওপর জয়ী সেতুতে,ফোনে সময় দেখায় দু দেশের!পৃথিবীর দুই প্রান্ত,দুই নদী কিন্তু একই আকাশ জুড়ে সময় বয়ে চলে স্যাটেলাইটে ভর করে!

পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত নায়াগ্রা ফলসের তিনটি অংশ…আমেরিকায় রয়েছে American falls আর Bridal veil falls,কানাডায় সবথেকে বড় অংশ Horseshoe falls।
আমাদের ট্যুর বাসের সঙ্গীরা বিভিন্ন দেশের…ইতালি,ব্রাজিল,চিন আর আমরা বাঙালি।গাইড কাম চালক বেশ হাসিখুশি,সত্তরের ওপর বয়স,কিন্তু কি ফিট!নিজের নাম দিয়েছেন Vic’s Mafia! সারাক্ষণ হাসিয়ে চলেছেন।

লিফটে করে নেমে এলাম Maid of the mist লঞ্চের জেটিতে,হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নীল রঙের বর্ষাতি…এখন আমার নাগালের মধ্যে নায়াগ্রার জলরাশি!গায়ে লাগছে জলের ছিটে,উত্তেজনায় অস্থির মন! তাড়াতাড়ি উঠে আসি আপার ডেকে,মোবাইল ক্যামেরা এক স্পেশাল ওয়াটারপ্রুফ পাউচে ভরে ঝুলিয়ে নিয়েছি গলায়,প্রতি মুহূর্ত ধরে রাখবো,মন ও ক্যামেরার হার্ডডিস্কে!

লঞ্চ চলেছে আমেরিকান ফলসের পাশ দিয়ে,কাল বিকেলে ওপরে নদীর পাড় থেকে দেখেছি,কিন্তু নীচে জলের ওপর থেকে দেখার অনুভূতি সম্পূর্ণ আলাদা, সফেন জলরাশি প্রবল বেগে নেমে আসছে…অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি।সামনে দেখা যাচ্ছে horse shoe falls…লঞ্চ এগিয়ে চলে সেই আশ্চর্য্য প্রপাতের অন্দরে,ঝাঁপিয়ে পড়া নদীর গর্জন,পুঞ্জীভূত জলকণা,তার থেকে তৈরি হয়েছে মেঘ,বিশাল জলপ্রপাতের বাঁদিক প্রায় ঢাকা পরে আছে জলকণার ধোঁয়ায়,লঞ্চ দুলছে,দোলা লাগছে মনে,তৃপ্তির পরশে অবশ হয়ে যাচ্ছি,যা দেখছি তা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব!মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি,তাকিয়েই থাকি!

ঘোর কাটে মেয়ের ডাকে…বাবা!তুমি তো পুরো ভিজে চান করে গেলে!লঞ্চ ফিরে চলেছে পাড়ের দিকে।
ভালো লাগার রেশ রয়ে যায় মনে,যা দেখলাম তো চুঁইয়ে জমা হয় স্মৃতির খাতায়,এগিয়ে চলি পরের গন্তব্যে।

দাঁড়িয়ে আছি এক নদীখাতের ধারে,অনেক নীচে বয়ে চলেছে নায়াগ্রা নদী। এই জায়গায় জলধারা হঠাৎ চওড়া গোলাকার,তৈরি হয়েছে অনেক ঘূর্ণি। মাঝে মাঝে অনেক ওস্তাদ সাঁতারু এই জায়গাটা সাঁতরে পাড় হবার চেষ্টা করেছেন,কিন্তু কেউই সফল হননি;ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া একজন তো দুরন্ত ঘূর্ণির পাকে হারিয়েই গেছেন। নদীর এই বিপদসঙ্কুল অংশের ওপরেই রয়েছে এক বহু পুরোনো রোপওয়ে,আজও এতে চড়ে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটক নিজের মনের জোর ঝালিয়ে নেন। এইসব ভাবতে ভাবতেই অনুভব করি পেটে ছুঁচোসাহেব ডন ও বৈঠক দিচ্ছেন। ঢুকে পড়ি এক সুন্দর ছিমছাম বেকারিতে। চিকেন স্যান্ডউইচ আর গরম কফিতে প্রাণ জুড়িয়ে নিই।

এসে পৌঁছই Goat Island এ। Horseshoe falls একদম হাতের নাগালে,জল প্রায় ছোঁয়া যাচ্ছে,নীচে তাকালেই দেখা যাচ্ছে ঝাঁপিয়ে পড়া নদীকে,লাল বর্ষাতি পড়া একদল ট্যুরিস্ট লঞ্চে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নদীর বুকে,এঁরা কানাডা থেকে এসেছেন,তাই লাল বর্ষাতি,আমেরিকান হলে নীল।

এর পরের অভিজ্ঞতাটা ভয়ংকর সুন্দর। Cave of the winds নামের ট্যুরে নিয়ে যাওয়া হয় Bridal veil falls আর American Falls এর নীচে। হেঁটে চলি এক সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে,কানে আসে জলের গর্জন,সুড়ঙ্গ শেষ হতেই লাল রঙের সিঁড়ি ধাপে ধাপে উঠে গেছে ফলসের ওপরের দিকে,জলের ঝাপটা প্রায় উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়,রেলিং ধরে টাল সামলাই,ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে যায় শরীরে,মনে…যদি নদী একটু গতিপথ পাল্টায়,যদি কাঠের সিঁড়ি ভেঙে পড়ে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সলিল সমাধি,সাহসী আমি হেরে যাই ভীতু সত্ত্বার কাছে,ফিরে চলি নিরাপদ দূরত্বে,কন্যা আমার তখনও জলের মধ্যে,অ্যাডভেঞ্চারে।

হোটেলে ফিরে আসি ক্লান্ত,অবসন্ন শরীরে,একটু বিশ্রাম না নিলে আর চলছে না।

সন্ধ্যেবেলা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াই, কখনো নদীর ধারে,কখনো আশপাশের গিফটশপে,বন্ধুবান্ধব প্রিয়জনের জন্য নায়াগ্রামার্কা টুকিটাকি জিনিস কিনতে কিনতে রাত হয়ে আসে। আজ রাতের খাবার ভারতীয় রেস্তোরাঁয়,এগ রোল আর লস্যি!

শেষ হয় স্বপ্নের মতো এক বেড়ানো,সুখস্মৃতি বেয়ে ঘুম নেমে আসে,কাল ভোরেই আমাদের নিউ ইয়র্কের ফ্লাইট।


[পরম্পরা ওয়েবজিন, ডিসেম্বর ২৪, সূচিপত্র – এখানে ক্লিক করুন]

1.3 3 ভোট
Article Rating
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
Dr Dipak Banerjee
Dr Dipak Banerjee
1 month ago

অপূর্ব লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা ও তার সুন্দর বর্ণনা!
সব যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি!
অনেক ধন্যবাদ।