আন-এথিক্যাল: একটি প্রজেক্টের গল্প
পরাগে বিষ ঢাললে মুঠো হাত আকাশে তুলবো। পিঠ দেয়ালে ঠেকলে ঠেকুক। মিথস্ক্রিয়া না হোক, যৌথ প্রকল্পে স্টেকহোল্ডার হওয়া আদ্যপান্ত এথিক্যাল।
আমার জীবনের কথা ফানুস হয়ে ফুটলে আমি এক পিপে ঠান্ডা জল ঢেলে দেবো জীনতত্ত্ব প্রকৌশলের। সুমদ্র মন্থনের শিশুতোষ বড্ড ক্লিশে বাছা। তার থেকে বরং ম্যাট লিপকালারের জন্মরহস্য অনুপ্রেরণার। স্বর্ণমৃগের ব্যবসা কোনকালে জমজমাট হয়নি ভূভারতে। আর “সোনে কা চিড়িয়া” একটা জুমলা, প্রমাণিত।
সোমালিয়ায় না গেলেও সংবাদের শিরোনামে ক্ষিধে লেখা যায়। বসিরহাটের ইটভাঁটা হাড় জিরজিরে বাচ্চাটা অথবা রাওয়াত ভাটার মেটে শিশুটার হাঙ্গার ইনডেক্স একই।
ক্ষিধেটা আমার জৈব সূচক। অধিকার স্বাধিকার তোমাদের ভাষা। খামচাতে আসলে কামড়াতে পারি। চোখে ভয়, পেটেও তো। আর সবশেষে ক্ষিধের খাদের সামনের দেয়াল ভেঙে গেলে এও তো সত্যি–আমিও জন্মসূত্রে ক্যানিবাল।
বেদুঈন ও বনসাই
রাত্রির চোখে আঁধার ভাঙছে রেশমী শিশির, কারণ এখনো শীতল রাত
দূর গাঁয়ে গাওয়া মেওয়াড়ি গানের ধুনে মিশছে নদীর তীর, হারানো নদীর অভিসম্পাৎ।
অনেক মুখের মুখরা কথায়ও নীরব অনেক মুহূর্ত শোয়,
নিশুতির মায়া এমনিই ধার
কোন চোখে কার হারানো পলকে কে হারিয়ে ছিল সব,
লেখা পাতাগুলো সব খাতার।
উড়ে যাওয়া যদি সারাংশ হয় স্বপ্নের অবধি,
বনসাই নয়, চোখ বাসা খোঁজে
রাত্রি পেরিয়ে ভোরালি আলোর বয়ে চলা নদী
আজও মনে হয় যায়নি মজে।