প্রিন্স আনোয়ার শাহ্ রোড এখন পশ্ এলাকা। ষাটের দশকের বা সত্তরের দশকের প্রথম দিকের সেই সরু রাস্তাটা, তার ধারে এদিক ওদিক পড়ে থাকা খালি জমি, ডোবা পুকুরগুলো, রঙ ওঠা, প্লাস্টার ভাঙ্গা জীর্ন, শীর্ন বাড়ি গুলো, টালির চালের বস্তিগুলোকে আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন রাস্তাটার দুধারে উদ্ভিন্ন যৌবনা লাস্যময়ী, ফ্যাশন প্যারেডের মডেলদের মতন দাঁড়িয়ে আটতলা/দশতলা ঝাঁ চক্চকে বড় বড় আবাসন।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের পিছনে ইন্দ্রানী পার্কের অবস্থাটা কিন্তু এখনও খুব বদলায়নি। যদিও এখানকার পুরোনো বাসিন্দারা যেমন বারীন বাবু, নিবারন বাবু, দিবানাথ বাবু এখন লাঠি নিয়ে হাঁটেন। অনেকেরই বয়সের গয়নার মতন চোখে মোটা লেন্সের চশমা, কানে হিয়ারিং এড তবু তাঁরা তাদের পুরোনো বাড়ীগুলোকে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট বানাতে চাননি। তাঁরা নিজেদের বাড়িতে থাকাটাই বেশি পছন্দ করেন, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট তাদের কাছে বড়লোকদের বস্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।
সকাল থেকেই আজ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শ্রাবনের মাঝামাঝি এটা স্বাভাবিক, তবে সকালে বৃষ্টি হলে দিবানাথ বাবু মর্নিং ওয়াকে যেতে পারেন না। তাই মেজাজটা খিটখিটে হয়ে আছে। অবশ্য সংসারে দিবানাথবাবুর মেজাজের কে আর তোয়াক্কা করে; দোতলার জানলার ধারে চেয়ারটায় বসে দেখছিলেন একটা গরু বৃষ্টিতে ভিজছে। তিনিও তো তাঁর ছেলের সংসারে গোরুর গল-কম্বলের মতন বেঁচে আছেন আর ছেলের বউ শান্তির চ্যাটাং চ্যাটাং কথা সহ্য করছেন।
প্রায় বিকেল চারটে বাজছে। ঠিক সাড়ে চারটেতে ইন্দ্রানী পার্কের মোড়ে তার আট বছরের নাতনী টুকাইকে সাউথ পয়েন্টের বাসটা ছেড়ে দিয়ে যাবে। নাতনীকে সেই সময় নিয়ে আসাটা দিবানাথবাবুর কাজ।
খোকা, নাতনী আর বৌমাকে নিয়ে সকাল আটায় নিজের গাড়ীতে বেড়িয়ে যায়। প্রথমে টুকাই, মানে নাতনীটাকে সাউথ পয়েন্টের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনস্ স্কুলটাতে নামায়, তারপর মিন্টোপার্ক বৌমাকে নামায় আর সবশেষে রাসেল স্ট্রীটে নিজের অফিসে পৌঁছায়। তাই মর্নিং ওয়াক সেরে দিবানাথবাবুকে ঠিক সাড়ে সাতটার মধ্যে বাড়ী ফিরতে হয়, একদিন ভোটের আগে নিবারন আর বারীনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পৌঁনে আটটা হয়ে গিয়েছিল; ব্যাস্ শান্তি মানে বৌমার কি কথা। “বাবা, আপনার জন্যে আমাদের কি চাকরী ছাড়তে হবে? সকালবেলায় এই আড্ডা মারার জন্যে কেন বেড়োন?” শান্তি কিন্তু এরকম ছিল না। আগে, মানে মালতী, অর্থ্যাৎ খোকার মা যতদিন ছিল, শান্তি খোকার মতন রোজ অফিস্ যাওয়ার আগে দিবানাথবাবুকে প্রণাম করে বেড়োতে আর এখন অফিস্ যাওয়ার সময় যদি দিবানাথবাবু সামনে থাকেন, তাহলেই হয়েছে; “কতদিন বলেছি, আপনি এই সময় আপনার ঘরে থাকবেন কেন সামনে আসছেন?” তারপর নিজের ঘরে গিয়ে খোকাকে বলবে “সত্যি, যেদিন তোমার বাবার মুখ দেখে যাই; সেদিনই কিছু ক্ষতি হয়, ঐ যে সেদিন, যেদিন মোবাইলটা হারিয়ে গো, সেদিনতো তোমার বাবার মুখ দেখেই অফিসে বেড়িয়েছিলাম।”


খোকাও কেমন হয়ে গিয়েছে। যে খোকার হাত ধরে ইলেভেন ক্লাস অবধি তিনি সেন্ট লরেন্স স্কুলের সামনে ষোলো নম্বর বাস থেকে নেমে রাস্তা পার করে পৌঁছে নিজে ফেরারলীতে নিজের অফিস অর্থাৎ ইস্টান রেলের অফিসে গিয়েছেন সে এসব কথা শুনেও চুপচাপ থাকে, কোন প্রতিবাদ করে না। হ্যাঁ দিবানাথবাবু বোঝেন, শান্তিকে খোকা ভালোবেসে বিয়ে করেছে। শান্তি সেই সময় খোকাদের অফিসে কাজ করত। মালতীর চাপে, খোকার ইচ্ছেতেই তিনি বিয়েতে রাজী হয়েছিলেন তা নয়তো তিনি তো ভেবেই রেখেছিলেন তাঁর সহকর্মী অশোকের মেয়ে মৌসুমীর সঙ্গে খোকার বিয়ে দেবেন। মৌসুমী লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল ;এখন যাদবপুরে ইংরেজীর অধ্যাপিকা। কিছুদিন আগেও অশোকের বাড়ীতে দেখা হয়েছিলো। পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে কত সম্মান দিয়ে বলেছিলো “কাকু কেমন আছেন, আপনার চেহারাটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। শরীর ঠিক আছে তো?” দিবানাথবাবু ঘাড় নেড়ে কিছুএকটা জানিয়েছিলেন। নিজেতো জানেন, যে তার শরীরটা মালতী যাওয়ার পর থেকেই রোগের ডিপো। কি নেই, প্রেসার, সুগার, ক্লোরোষ্টাল সবগুলোই সবসময় সীমারেখার ওপর দিয়ে বইছে। বিশেষ করে সুগারটা সেই যে আড়াইশো তিনশোতে চড়ে বসে আছে, এত ওষুধ, ইঞ্জেকশান্ সত্ত্বেও সে কখনোই নামে না। শুধু শান্তি বলে “এই যে বুড়োটা ঘাড়ে চড়ে বসে আছে কবে যে নামবে কে জানে?”
ইন্দ্রানী পার্ক থেকে ঢাকা কালী বাড়ীর দিকে গেলে হরিপদ দত্ত লেনের মোড়টায় “জয় মা কালী” মিষ্টির দোকানটা এখনও আছে। “জয় মা কালী” মিষ্টির দোকানে গরম জিলিপি, জলভরা সন্দেশ, বাবড়ী যেন দিবানাথ বাবুকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। কেনই বা ডাকবে না কি ভালোই না বাসতেন মিষ্টি খেতে। “জয় মা কালীর” মালিকের ছেলে অতুল দিবানাথ বাবুর ছোটবেলার বন্ধু। রোজ লেকে ফুটবল খেলে দিবানাথ আর অতুল যখন জয় মা কালীতে বসতেন তখন অতুলদের কর্মচারী বিশুর কাজই ছিল দিবাদা আর অতুলদার গরম জিলিপি আর চায়ের ব্যবস্থা করা।
“দিবা, তুই বলটাকে নিজে সর্ট না করে আমাকে মাইনাস্ করলি না কেন রে? অতুলের জোরালো প্রশ্ন “ তুই তো তালকানা, তোকে যতগুলো বল দিয়েছি সব পোষ্টের উপর দিয়ে পাঠিয়েছিস। কতবার বলেছি, বলটা রিসিভ করবি তারপর গোলকিপারের পজিসন্ দেখে অন্যবারে কোনাকুনি সর্ট নিবি তা গোলের মুখে এলেই তোর মাথার ঠিক থাকে না, কি বলব বল,’’ দিবানাথের চাবুকের মতন জবাব। “আরে গাধা, তুই সটা নিতে গেলি বলেই তো অক্সাইডটা খেলাম আমরা।” অতুলের পাল্টা জবাব।
দিবানাথ গরম জিলিপিতে কামড় দিয়ে চিবোতে চিবোতে বলতেন “১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপে জার্মানী হল্যান্ডের খেলাতে গার্ড মুলারের গোলটা মনে করতো।” অতুলের উত্তর “দ্যাখ্ আমি মানছি ১৯৭৪ সালে জার্মানী ২-১ গোলে হল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর তেতাল্লিশ মিনিটে মুলারের গোলটাই জার্মানীকে জিতিয়ে দিল। কিন্তু ভুলে যাস্ না হল্যান্ড সারা দুনিয়াকে শিখিয়েছিল “টোটাল ফুটবল”। দিবানাথ বাবুর জবাব “রাখ তোর টোটাল ফুটবল” – মুলার, বেকেনবাউয়ার, মায়ার, ওয়ালটার, জার্মানীর এইসব ফুটবলার পৃথিবীতে আর জন্মাবে না।”


কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন দিবানাথবাবু, প্রায় পাঁচটা বাজতে চলল এখনও স্কুল বাসটার দেখা নেই। হয়ত বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে গিয়েছে ,তাই বাসটা আসতে দেরী করছে। আসলে পুরানো দিনের কথাগুলো মনে এলেই দিবানাথ যেন নিজের সেই পঁচিশ -ছাব্বিস্ বছর বয়সটাকে ফিরে পান। তখনকার মানুষগুলো অন্যরকম ছিলো। ইন্দ্রানী পার্কের দুর্গাপূজোতে চাঁদা তোলা থেকে পূজোয় ভাসান সব কিছুতেই দিবাদা। আর বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি যখন কাকলির সাথে গান গাইতেন “ আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের তখন তিনি তো কাকলি ছাড়া আর কারো কথা ভাবতেই পারতেন না।
কাকলিরা অবশ্য ভাড়াটে ছিলো, নিবারনদের বাড়ীতে, তবু তিনি তো কাকলি ছাড়া আর কারো কথা ভাবতেই পারতেন না।সেই সময়, তিনি আর কাকলি গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে যখন ফ্রেঞ্চ ক্লাস করতেন তখন তাদের বন্ধুত্বের সুরটা কখনও ভাড়াটে বাড়ীওয়ালার আভিজাত্যের অহংকারে বেসুরো আওয়াজ করেনি।
আরে বাসটা এসে গিয়েছে। “বাই, বাই” বলে টুকাই বাস থেকে নেমে ‘’দাদু’’ বলে দিবানাথের হাতটা চেপে ধরল ।বৃষ্টিটা একটু কমেছে ,তবে থামেনি। দিবানাথবাবু ছাতি মাথায় দিয়ে নাতনীর হাত ধরে বাড়ীর দিকে চললেন। বাড়ি পৌঁছে অবশ্য টুকাইকে দেখাশোনা করবে ওদের সারাদিনের লোক ছায়া। দিবানাথ বাবু চা খেয়ে জয় মা কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারের দিকে হেঁটে আসবেন। যাই হোক না কেন, সন্ধ্যাবেলা ওই জিলিপি ভাজার গন্ধটা না পেলে তাঁর রাত্তিতে ঘুম হয় না।
বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। দিবানাথ বাবু প্রায় জয় মা কালী মিষ্টির দোকানের সামনে পৌঁছে গিয়েছেন। রাস্তায় একটু বেশী ভিড় মনে হচ্ছে। মিষ্টির দোকানে সামনে ভীড়ের ভেতর আর ঢুকলেন না, – বাইরে দাঁড়িয়ে লোকেদের আলোচনা শুনছিলেন। একজন বলছে “আরে মশাই, এই বাইক বাহিনীতো এই আমাদের কলকাতাটাকে শেষ করে দিল।” আরেকজন সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল শুধু কলকাতা কেন সারা পশ্চিমবাংলাটাকে এরা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”আরে দাদা এটা একটা অ্যাকসিডেন্ট ,ছেলেটা বাইক চালাচ্ছিল মেয়েটা পিছনে বসেছিল উল্টোদিকের বাসটা ধাক্কা মারাতেই দুজনই ছিটকে পড়ে জখম হয়েছে। পুলিস্ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে’’ একজন অভিজ্ঞ পথচারীর মন্তব্য। দিবানাথ বাবু জয় মা কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারের সিড়ির এক ধাপে দাঁড়িয়ে এইসব শুনে দোকানের বাইরে জিলিপি ভাজা দেখেছিলেন। কড়াইয়ে জিলিপি ভাজার ধোঁয়া আর বর্ষার বৃষ্টিতে স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধটা যেন মন প্রাণ ভরিয়ে দিল। অতুলতো কবেই ছবি হয়ে দোকানে ঝুলছে। ছেলে রাহুল দোকানে বসে অবশ্য বিশু আছে। রাস্তার ভীড় আস্তে হালকা হচ্ছে। তবু দোকানের সিঁড়ি দিয়ে দিবানাথবাবু নিরাপদে এগোচ্ছিলেন। “আরো দিবাদা…. কাকলি আরেকজন সমবয়সী মহিলার সঙ্গে দোকানের ভেতর থেকে তাকে দেখে একটু জোরে চেঁচিয়ে উঠল। দিবানাথবাবু একটু ইতঃস্তত করে দোকানের ভেতরে ঢুকলেন।

কাকলি একটু সরে বসে বেঞ্চিটাতে একটু বসার জায়গা করে দিল। রাহুল বলল্ – “কাকু এখান থেকে যাওয়া আসা করে অন্তঃত আপনার বন্ধুর ছবিটাকে একটু দেখে যেতে পারেন।” দিবানাথ বাবু বেঞ্চিটাতে বসলেন, বিশু একটা প্লেটে দুটো গরম জিলিপি দিয়ে গেল। দিবানাথ বাবু রাহুলকে কি জবাব দেবেন বুঝতে পারছিলেন না। অতুলের ছবিটার দিকে তাকালেন, চোখের কোনটা একটু ভিজে ভিজে মনে হোল। একটু গম্ভীরভাবে বিশুকে বল্লেন “এগুলো সরিয়ে নিয়ে যা’ এগুলো আমার কাছে বিষ।’ কাকলি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল ‘খাওনা দিবা দা- একদিন খাও। আমি খাওয়াচ্ছি খাও।”
এক সময়তো কত গাইতে “আমি জেনেশুনে বিষ করেছি – পান।” বিশুকে ধমকানো যতটা সহজ, কাকলির কথাটাতে না করাটা ততটা সহজ নয়। অতুলের ছবিটার দিকে আরেকবার কেন জানিনা চোখ পড়ে গেল। ঠিক শুনতে পেলেন অতুল বলছে “ওরে, গাধা গোলের মুখে বল নিয়ে সময় নষ্ট করিস না পুরানো বান্ধবীর সঙ্গ পেয়েছিস, গরম জিলিপি পেয়েছিস ,সর্ট মার।”
“ কে দিয়েছে এনাকে জিলিপি?” হঠাৎ বৌমার চিৎকারে মাথাটা ঘুরে গেল। শান্তি নিশ্চয় গরম জিলিপি কিনতে দোকানে এসেছে, রোজই তো ও আর খোকা অফিস থেকে ফিরে গরম জিলিপি খায়। কানে মোবাইলটা লাগিয়ে বৌমা তখন চেঁচাচ্ছে “ এই শোন, তুমি বললে না জিলিপি নিয়ে আসতে, তাই আমি “জয় মা কালীতে” এসেছিলাম কি দেখলাম জানো তোমার বাবা কাকলদির সঙ্গে বসে জিলিপি খাচ্ছেন, ছিঃ ছিঃ তুমি তোমার বাবার জন্য সুগারের ওষুধ কিনছো, আর উনি জিলিপি খাচ্ছেন।”

কাকলি কিছু বলার আগেই দিবনাথ বাবু বেঞ্চি থেকে উঠে পড়লেন। টুকাইয়ের মতন হাত নেড়ে কাকলিকে বললেন “অ্যাঁ রভ্য” কাকলি সেই আগের মতন করে “অ্যাঁ রত্যু” বলল। শান্তি একটু ঘাবড়ে গেল। দিবানাথবাবু নিজের মনেই বললেন “ভাগ্যিস ফ্রেঞ্চটা আমি আর কাকলি শিখেছিলাম। তাই বৌমা কথাটার মানে না বুঝলেও কাকলি তো বুঝেছে যে পরের বার দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমি ওকে বিদায় জানালাম’’। দিবনাথ বাবু বাড়ীর দিকে হাঁটছিলেন। শান্তি দোকান থেকে জিলিপি কিনে রিক্স করে তার পাশ দিয়ে চলে গেলো। কাকলি জিলিপি দাম দেওয়ার সময় বিশু জিজ্ঞেস করল “দিবাদা কি বললেন?” কাকলি বলল “দিবাদা বিদায় জানালেন।” বিশু বলল “কাকে?” আপনাকে না গরম জিলিপিগুলোকে?
কাকলি বলল “সেটা আমি জানিনা”

ছবিঃ আন্তর্জাল

[পরম্পরা ওয়েবজিন, আগস্ট ২৪, সূচিপত্র]

0 0 ভোট
Article Rating
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
পংক্তির ভেতর মন্তব্য
সব মন্তব্য
Syamali Bhadra
Syamali Bhadra
2 months ago

ভাল লাগল