সমুদ্র রেখেছ ধরে কাজলের ঘেরাবেড়া চোখে
তাই ভাবি বেলাভূমি জৌলুস মণি ও প্রবাল
কাকভোরে আসে কোথা থেকে!
এমনিতে নীল ঘাসে এতটা জীবন…
খুঁজে পেতে ইচ্ছে হলে আছিলায় টাইফুন ডাকা
ডুবুরীর সুদীর্ঘ গভীর ঝাঁপ দেবার আগেই

যদিও আয়ত্বে নেই ল্যাবিরিন্থ, সমুদ্র ঝড়ের নেশা উন্মত্ত সওয়ার
সম্মোহন কবচকুণ্ডলে অমর হয়েছি এজন্মেই
গভীরতা তাই কোন শর্তই রাখেনা
রেটিনায় যেহেতু জীবন্ত হৃদয় উঁকি মারে
ধমনীর সাথে চলা তাই বেশী কঠিন লাগেনা

সময়-দাবার ছকে রেখেছ তো বিধিবদ্ধ শঙ্খমোতি
সাজিয়েছ তিল-বিন্দু তোমার নারীত্ব অভিমান
এ ছাড়াও শেষ ডুবে এনে দেব নীলকান্ত মনি
নির্দ্বিধায় চোখ বেঁধে বিকেলের লুকোচুরি খেলার সময়

স্পন্দন রেখে গেলাম তোমার চোখে, গচ্ছিত
চৈত্রে-না-আসা কালবৈশাখীর গোপন ঠিকানা খুঁজে ফিরে আসব, ঠিক একদিন…
মলয়াদ্রির অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র-প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে
কোন এক বাদলাটে সন্ধ্যেয়
আবছা দৃষ্টি দূরত্বে
অজস্র শ্রাবনের
সোঁদা মাটির
আর সরল ভালোবাসার গল্প নিয়ে
ফিরে আসব

তুমি, তোমার মতই থেকো
কিছু স্বপ্ন রোদ
কিছু সবুজ গন্ধের কাঁঠালিচাঁপা
কিছু অসম্পূর্ণ কথা আর
একলাটি দিনের কিছু আলতো অভিমান নিয়ে
আর মুঠোয় কিছু উষ্ণতা বেঁধে।

হঠাৎ পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে যাবে তোমাকে
তোমার উঠোন
ভাপ ছাড়া মাটি আর
হয়ত আমাকেও…

তখন তাকালে
আমার চোখে চেনা স্বপ্ন পাবে তুমি সেদিন
ভিজে ভিজে ইচ্ছে পাবে ভালোবাসার
এক ফাঁকে জানলার পাশে বৃষ্টি আর বন
কোলাজ বানাবে, লুকোচুরি আকাশ কে নিয়ে
ওপাশে অনায়াস অপেক্ষায় থাকবে বিল–
কবে পানকৌড়ির নৌকোয় ভেসে যাবে নাইয়রীর স্বপ্ন
এ গ্রাম থেকে সে গ্রামে
একটুখানি রাত বাড়লে
মাঝের বিলটায় আয়না দেখবে আকাশ আর ত্রয়োদশীর চাঁদ
দেখ …

আমি আসবো

ছবিঃ আন্তর্জাল

[পরম্পরা ওয়েবজিন, আগস্ট ২৪, সূচিপত্র]