বসন্ত দেখি প্রস্তুত
শূন্যেরা আর কত কথাই বা বলবে!
অতএব পূবে পশ্চিমে দক্ষিণে
কালো, মিশকালো মুহূর্ত কিছু সন্ধানী
বেশ ভেবে নিলো, খোলা মাঠ খেলা চলবে-
বাহ্ রে বাব্বা টাকা কোটি টাকা উড়ানে
তুর্কি নাচনে কীভাবে কতটা কুড়োনো
অবশ মুঠোর ক্ষুধাতুর আনুগত্য
আর যারা নাকি মধুমক্ষির স্বভাবে
মউ চেটে চেটে ভাবলেন, শুধু আপোসই বাঁচার শর্ত।
এদিকে হল কী, বসন্ত দেখি প্রস্তুত
তাকে রুখে দেওয়া অন্ধকারের সাধ্যি!
বেঁচে থাকবার দাবি সনদকে চুরি করে যারা,
তাদের এবারে ইতিহাস থেকে বাদ দিই।
এখন দেখছি বেসামাল আলো ফিনিক্স পাখির ডানায়
পুষ্পধনু গো, দহন তোমাকে মানায়?
এই যে সময়, বন্ধ্যা এবং আদতেই দিশাহীন
সম্ভাবনার যতটুকু আলো, ক্ষীণ,
প্রমিথিউস কি পারবে খানিক আগুন ছিনিয়ে আনতে?
অপেক্ষা দিন অন্তে…
সায়ুধ বাহন
দখিন রায়ের ডেরা থেকেই খবর এলো
যাত্রা হবে।
ইঁটের ভাটা, মাছের ভেরি
নোনা মাটির ক্ষেত খামারি
এই পরবে
যাত্রা হবে।
বস্ত্রহরণ পালা হবে দ্রৌপদীদের
ক্লাবঘরে আর পঞ্চায়েতে ,
রাতবিরেতে
কুরুরাজের উরুর ওপর বসবে মেয়ে
তারপরে ফের বিদ্যেধরীর জলে নেয়ে
ভাত চড়াবে সকাল সকাল সংসারে তার।
বস্ত্রহরণ পালা হবে খবর গেলো চরাচরে
খিদের আগুন জ্বলছে ঘরে
পর্দা ওঠে – একলা তো নয়
হাজার হাজার দ্রৌপদীদের জন্মসময়
সায়ুধ মেয়ে আগুন চোখে বস্ত্র ছোঁয়া যায়?
কাস্তে, লাঠি , মশাল হাতে যুদ্ধ কে থামায়
দখিন রায়ের ডেরা থেকেই খবর এলো
যাত্রা হবে।
ইঁটের ভাটা, মাছের ভেরি
নোনা মাটির ক্ষেত খামারি
এই পরবে
যাত্রা হবে।
বস্ত্রহরণ পালা হবে দ্রৌপদীদের
ক্লাবঘরে আর পঞ্চায়েতে ,
রাতবিরেতে
কুরুরাজের উরুর ওপর বসবে মেয়ে
তারপরে ফের বিদ্যেধরীর জলে নেয়ে
ভাত চড়াবে সকাল সকাল সংসারে তার।
বস্ত্রহরণ পালা হবে খবর গেলো চরাচরে
খিদের আগুন জ্বলছে ঘরে
পর্দা ওঠে – একলা তো নয়
হাজার হাজার দ্রৌপদীদের জন্মসময়
সায়ুধ মেয়ে আগুন চোখে বস্ত্র ছোঁয়া যায়?
কাস্তে, লাঠি , মশাল হাতে যুদ্ধ কে থামায়
অসাধারণ
অসাধারণ বললেও কম বলা হয়।প্রতিবাদ প্রতিরোধে কবিতাই হোক হাতিয়ার।
অত্যন্ত ভালো দুটি কবিতা। কবিতা ই তোমার আয়ূধ কবি।
এ পালায় উরুভঙ্গ করবে প্রমিথিউস – তোমার কবিতার শর্তে
শূন্য থেকেই তো যাত্রা শুরু হয়, মঙ্গলশাঁখ বেজে ওঠে
জয় হোক তোমার।