বীজ
মেঘ নামিয়ে যাদের কথা ভাবতে বসি আমি
মন আঙিনায় ছিল তাদের অবাধ চলাচল।
মধ্যরাতের উপেক্ষা বীজ মৃদু স্পর্শকামী
উঠছে ফুটে একলা ক্ষতে বিষাদ শতদল।
মেঘ নামিয়ে যাদের সাথে গল্প করি আমি
গন্ধ রবার, রং পেন্সিল দেখাই বারেবারে।
হঠাৎ তাদের ঝাপসা দেখায়, অতীত দূরগামী
নির্জনতা হানল শুধু আঘাত চুপিসারে।
মেঘ নামিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করি আমি
আমায় যারা বলেছিল উন্মাদ, পথভোলা।
বৃষ্টি রাতে আবছা পথে আগুন হয়ে নামি
জ্বলতে থাকি, ভিজতে থাকে অতন্দ্র পানশালা।
দূরত্ব
জীবনের সংক্ষিপ্ত উত্তরণে অথবা বিজয় মিছিলে
নিজেকে বন্ধুবৃত্ত থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়।
পরিমিত শ্লাঘা এটা নয়
এ এক অস্ফুট আর্তনাদ!
মানুষের ভিড়ে মিশে যেতে চাইলে
প্রতি মুহূর্তে চেপে ধরে স্থূল অনন্যতা।
মতপার্থক্যের লঘু উষ্মায় ঢেকে যায় দলবর্তনী।
একতার পরিবর্তে দূরত্ব বেড়ে চলে ধীর পায়ে
ঘটনাপ্রবাহে চোখে পড়ে অদ্ভুত নিয়মানুবর্তিতা।
স্তব্ধ রাজপথে চুপ করে দাঁড়ালে ছুঁয়ে যায় প্রবাসী হাওয়া,
যার স্পর্শে লেগে থাকে তীব্র কাঠিন্য।
খুব সুন্দর লাগল কবিতা গুলি।
বিষেশত শেষ দু লাইন –
স্তব্ধ রাজপথে চুপ করে দাঁড়ালে ছুঁয়ে যায় প্রবাসী হাওয়া,
যার স্পর্শে লেগে থাকে তীব্র কাঠিন্য
দুটো কবিতাই খুব সুন্দর।
খুব সুন্দর। চলুক কবিতাচর্চা।
Khub bhalo laglo kobita gulo. 👍🏼
খুব সুন্দর । দু’টো কবিতাই ভালো লাগলো।
খুব ভালো লাগলো।